পাতা:ব্রজবিলাস - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর.pdf/৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩৬
ব্রজবিলাস

 পুনর্ভুপ্রভর অর্থাৎ পুঙুর গর্ডে যাহার জন্ম হইয়াছে; কুলের অধই সা পেইনর্ভব কন্যা বর্জন করিবেক। এই সাত কাশ্যপোক্তা কন্যা, বিবাহিতা হইলে, অগ্নির ন্যায়, কুল দগ্ধ করে।

 খুড় মহাশয়ের মীমাংসা অনুসারে, এই কাশ্যপবচনে যাহাদের বিবাহ নিন্দিত ও নিষিদ্ধ হইয়াছিল, পরাশর, অমুদ্দেশ প্রভৃতি পাঁচ স্কুলে, তাহাদের বিবাহের বিধি দিয়াছেন। সুতরাং, অনুদ্দেশ প্রভৃতি পাঁচ স্থলে, বাচাদস্তা, মনোদতা, কতকৌতুকমঙ্গল, উদকস্পর্শিতা, পানিগৃহীতিকা, অগ্নিং পৱিগতা, পুনর্ভুপ্রভবা, এই সাত প্রকার ফন্যার বিবাহ বিধিসিদ্ধ হইতেছে। তন্মধ্যে, উদকস্পর্শিত অর্থাৎ যাহাকে যথাবিধি দান করা গিয়াছে, পাণিগৃহীতিকা অর্থাৎ যাহার পাণিগ্রহণ যথাবিধি সম্পন্ন হইয়াছে, অগ্নিং পরিগতা অর্থাৎ যাহার কুশণ্ডিকা যথাবিধি নিষ্পন্ন হইয়াছে, এই তিন কন্যাকে বিবাহিতা বলিয়া গণ্য করিতে হইবেক। এই তিন কন্যার পতি মৃত, পতিত, প্রব্রজিত প্রভৃতি স্থির হইলে, খুড় মহাশয়ের মীমাংসা অনুসারে, পরাশরের বিশেষবিধির বলে, তাহাদের বিবাহ হইতে পারিতেছে। সুতরাং, বিদ্যাসাগরের ব্যবস্থার সহিত, খুড় মহাশয়ের মীমাংসার, আর কোনও অংশে, অনুষত্র প্রভেদ বা বৈলক্ষণ থাকিতেছে না। এক্ষণে সকলে দেখুন, খুড় মহাশয়, কেমন চালাকি খেলিয়াছেন। শ্রীমতী যশোহরহিন্দুধর্ম্মরক্ষিণী সভা দেবীর দিব্য চক্ষে ধুলিমুষ্টি প্রক্ষেপ করিয়া, নলডাঙ্গার তৈলবটের সার্থকতা সম্পাদন করিয়াছেন কি না।