পাতা:ব্রজবিলাস - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর.pdf/৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
পঞ্চম উল্লাস।
।৪৩

এটি নিতান্ত সামান্য কথা নহে; কারণ, যেরূপ দেখিতে পাওয়া যায়, অসময়ে কে কাহারও দিক মাড়ায় না। যে পাষণ্ড এই সমস্ত সুবিধা ও উপকারের পথ রুদ্ধ করিবার চেষ্টা করে, তার, মুখদর্শন করা উচিত নয়। মুখের বিষয় এই, আমরা স্বাধীন জাতি নহি; স্বাধীন হইলে, এত দিন, কোন কালে, বিদ্যাসাগর বাবাজি স্বশরীরে স্বর্গারোহণ করিতেন। কারণ, স্বাধীন সাধুসমাজের তেজীয়ান্‌ চাঁই মহোদয়েরা, কখনই, এ অত্যাচার, এ অপমান, সহ করিয়া, গায়ের ঝাল গায়ে মারিয়া, চুপ করিয়া থাকিতেন না; বিদ্রোহী বলিয়া, বিচারালয়ে তাঁহার নামে অভিযোগ উপস্থিত করিতেন, এবং আপনারাই, ধর্ম্মপুত্র যুধিষ্ঠিরের ন্যায়, ধৰ্মাসনে বসিয়া, তাঁহাকে শূলে চড়াইয়া, যথোপযুক্ত আক্কেলসেলামি দিতেন। হায় রে সে কাল!!! হা জগদীশ্বর!.তুমি, কত কালে, সদয় হইয়া, এই হতভাগা দেশকে পুনরায় স্বাধীন করিবে। এরূপ যথেচ্ছার আর আমরা কত কাল সহ করিব!!! .  বিধবাবিবাহ প্রচলিত হইলে, ব্যভিচার দোষের ও ভ্রুনহত্যা পাপের নিবারণ হইবেক, এ কথার অর্থ কি। ব্যভিচার যদি দোষ বলিয়া গণ্য হইত, তাহা হইলে, এই পবিত্র দেশের অতিপবিত্র সাধুসমাজে, কদাচ এরূপ প্রবল ভাবে প্রচলিত থাকিত না। পুরুষের ব্যভিচার, এ দেশে, দোষ বলিয়া কখনও উল্লিখিত হইতে শুনি নাই; কেবল স্ত্রীলোকের বেলায় দোষ বলিয়া গণ্য হইয়া থাকে। কিন্তু, নিবিষ্ট চিত্তে অনুধাবন করিয়া দেখিলে, তাহাতে বাস্তবিক