পাতা:ব্রজবিলাস - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর.pdf/৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
পঞ্চম উল্লাস।
৪৫

প্রচলিত সেই প্রশংসনীয় সনাতন ধর্ম্মকে দোষ বলিয়া গণ্য করিয়া তাহার নিবারণার্থে, বিধবাবিবাহ প্রচলিত হওয়া উচিত বলিয়া, যে পাণ্ডিত্যপ্রকাশ করিয়াছেন, তাহা গ্রাহ্য করা কদাচ উচিত নহে। ফলকথা এই, ব্যভিচার বন্ধ করিবার নিমিত্ত, বিধবাবিবাহ প্রচলিত হওয়া উচিত ও আবশ্যক, এ কথার অর্থ নাই।

 ভ্রূণহত্যার বিষয়ে বক্তব্য এই যে, নির্ব্বোধ নির্বিবেক শাস্ত্রকারেরা, কি মতলবে বলিতে পারি না, ভ্রূণহত্যাকে পাপ বলিয়া নির্দেশ করিয়া গিয়াছেন; সে জন্য ভয় পাইয়া, বিধবা বিবাহ দেওয়া আবশ্যক বলিয়া বোধ হয় না। শাস্ত্রকারেরা, নিতান্ত পাগলের মত, কত বিষয়ে কত কথা বলিয়াছেন; কই, আমরা ত সে সকল কথা গ্রাহ করিতেছি না। তবে এইটির বেলায়, তাঁঁহআদের খাতির রাখিবার জন্য, ব্যস্ত হইবার কারণ কি।

 কিঞ্চ, স্ত্রীলোক, গুরুজনের খাতির এড়াইতে না পারিয়া, কিংবা প্রিয় জনের নাছোড় পীড়াপীড়িতে পড়িয়া, সনাতন ব্যভিচার দেবের উপাসনায় প্রবৃত্ত হইলে, প্রকৃতিদেবীর অলঙ্ঘনীয় নিয়ম অনুসারে, গর্ভসঞ্চার, অধিকাংশ স্থলে, অপরিহার্য্য; এবং, পবিত্র সাধুসমাজের অবলম্বিত ও অনুমোদিত প্রথা অনুসারে, তথাবিধ স্থলে, জ্বণহত্যাও অপরিহার্য্য[১]। অপরিহার্য্য বিষয়ের অনুঠান বা অনুমোন, কোনও অংশে, দোষাবহ বলিয়া


  1. ও দেশের পুরুষজাতির পায়ে কোটি কোটি দণ্ডবৎ। তাঁহারা স্ত্রীলোকের পরকাল খাইবার আসল ওস্তাদ। স্ত্রীলোক, স্বভাবতঃ, সাতিশয়