পাতা:ব্রজবিলাস - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর.pdf/৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫২
ব্রজবিলাস।

করিতেছিলেন। বিদ্যাসাগর, বচনের অযথা অর্থ লিখিয়া, লোককে প্রতারণা করিয়াছেন; নৈয়ায়িক বিদ্যারত্ন খুড় এইরূপ বলাতে, নিকটবর্ত্তী এক ব্যক্তি কহিলেন, বিদ্যাসাগর, বচনের অযথা অর্থ লিখিয়া, লোককে প্রতারণা করিয়াছেন, যদি আপনকার এরূপ বোধ ও বিশ্বাস, থাকে, তাহা হইলে, ঐ সমস্ত লিখিয়া, সর্ব্ব সাধারণের গোচরার্থে, প্রচারিত করা আপনার উচিত। তাহাতে নৈয়ায়িক বিদ্যারত্ন খুড় কহিলেন,

“শতং বদ মা লিখ।”
শতবার বলিও, লিখিও না

কোনও বিষয়ে কোনও কথা বলিলে, যদি উত্তর কালে ধরাধরি পড়ে, কোন শালা বলিয়াছে বলিলেই, নিষ্কৃতি পাওয়া যায়; লিখিলে, ফাঁদে পা দেওয়া হয়, সহজে এড়াইতে বা ভাঁড়াইতে পারা যায় না। এজন্যই, পূর্ব্বোক্ত নীতিবাক্যে, লিখিতে নিষেধ। দেখুন দেখি, আপনার দুজনেই, এক এক বিষয়ে, সর্ব্বপ্রধান সমাজের সর্ব্বপ্রধান ব্যক্তি; উভয়েই বিদ্যারত্ন উপাধি ধরেন; উভয়েই সর্ব্বত্র সর্ব্বপ্রধান বিদায় মারিয়া থাকেন। কিন্তু, বুদ্ধি ও বিবেচনা বিষয়ে, উভয়ের আসমান জমীন ফরক। তিনি, পাগলের মত বেড়বেড় করিয়া বকিয়া, লোককে জ্বালাতন করিতে সম্মত আছেন। কিন্তু, লিখিয়া ফাঁদে পা দিতে, কোনও মতে, সম্মত নহেন। আপনি এমনই আনাড়ি, তাড়াতাড়ি লিখিয়া, ফাঁদে পা দিয়া জড়াইয়া পড়িলেন।

 যদি বলেন, আমার উপরেই তোমার এতটা চোট