পাতা:ব্রজ-বার্ত্তা ও তন্মাহাত্ম্য - পার্ব্বতীচরণ মুখোপাধ্যায়.pdf/৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बज-कौी । * − করিবেন। কথিত আছে-মথুরাধামেয় ধ্রুবঘাটে যিনি পিন্থী উদ্দেশে পিণ্ডদান করেন, তঁাহার গয়ায় পিণ্ড দান অপেক্ষা ছয় গুণ ফল লাভ হইয়া থাকে। গোকুল হইতে মথুরা তিন ক্রোশ ব্যবধান এবং বিংশতি যোজন বিস্তীর্ণ। সন ১৮৫৩ খৃষ্টাব্দে যখন মথুরাপুরী ইংরাজ গবৰ্ণমেণ্টের অধিকারভুক্ত হয় তখন অকস্মাৎ এরূপ ভয়ঙ্কর ভূমিকম্প উপস্থিত হয়। যে, হিন্দু কারিগরদিগের নিৰ্ম্মিত যাবতীয় অট্টালিকাদি এককালীন ভূমিস্মাৎ হইয়া ধুলিরাশিতে পরিণত হইয়াছিল । প্ৰবলবাত্যা দ্বারা যেরূপ মেঘরাশীি দূরীভূত হয়, তদ্রুপ যিনি একবার মাত্ৰ মথুরাধাম পরিদর্শন করেন, তৎক্ষণাৎ ভঁাহার সকল পাপ বিনষ্ট হয় । এমন কি যদ্যপি কোন ব্যক্তি দশ নেচ্ছা হইয়াও তাহার ভাগ্যে মথুরা দর্শন না ঘটে তত্ৰাশি তাহার দেহান্তে মথুরাপুরীতেই জন্ম লাভ হইয়া থাকে। রামায়ণে উক্ত হইয়াছে যে-লোনারের জ্যেষ্ঠপুত্ৰ মধুদৈত্য ভোলানাথ আশুতোষকে প্ৰসন্ন করিয়া এক জাঠ বা শূল প্ৰাপ্ত হয় এবং ঐ শূল উহার পুত্র লবণকে সমর্পণ করিয়া বরুণালয়ে চলিয়া যাইলে কিছু দিবস পরে তপোবনবাসী ঋষিগণ লবণের দৌরাত্ম্যে যখন মহা অস্থির হইয়া পড়েন, তখন সকলে একত্রিত ও একমত হইয়া দয়ার সাগর শ্ৰী রামচন্দ্র রাজার নিকট এই সংবাদ পাঠাইলেন যে-হে প্ৰভো । দুৰ্দান্ত রাবণ অপেক্ষ উপস্থিত লবণের দৌরাত্ম্য আমাদিগের দ্বিগুণতর অসহনীয় বলিয়া বোধ হইতেছে এবং অচিরে ইহার বিহিত উপায় না হইলে ভজনের বিত্ন ঘটিবার সম্ভব”। এতদ্বার্তা মান্ধান্তা রাজার কর্ণগোচর হইলে সর্ব প্ৰথম তিনি লবণকে ।