পাতা:ব্রহ্মকায়স্থ - ললিতাপ্রসাদ দত্তবর্মা.pdf/৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ዓ¢ ] বর্গ মধ্যে হইয়৷ "আসিতেছিল। পরশুরামের সময়ে ক্ষত্ৰিয়গণ ক্ষত্ৰিয় শব্দ পরিত্যাগে কায়স্থ নাম গ্ৰহণ করিয়াছিলেন । কিন্তু পরশুরামকে নির্বাসিত করিয়া পুনৰ্বার ক্ষত্ৰিয়ত্বে স্থাপনপূর্বক কায়স্থ ও ক্ষত্ৰিয়গণ ক্ষত্ৰিয় বলিয়া পরিচিত হইলেন । যখন মহাভারত গ্ৰন্থ লিখিত হয় তখন পুনরায় সকলেই ক্ষত্ৰিয়, দেখিতে পাওয়া যায় । সুৰ্য্য ও চন্দ্ৰ বংশীয় সকলে কায়স্থ না বলিয়া আপনাদিগকে ক্ষত্ৰিয় বলিয়া পরিচয় দিতেন । ইহার আর একটী কারণ এই যে কায়স্থগণ তখন বাহুবল অবলম্বন করিয়া ছিলেন। মহাভারতের আখ্যান কেবল যুদ্ধ বিগ্ৰহ । সেই সময় কায়স্থ বলিয়া পরিচয় দিলে বাহু বলের বিক্রম শোভা পায় না। কেহ কেহ স্থির করিয়াছেন যে ভগদত্ত প্ৰভৃতি মহাবলীগণ কায়স্থছিলেন। তথাপি তাহারা মহাভারতের যুদ্ধে বৰ্ত্তমান থাকিয়া ক্ষত্ৰিয় নামে সে স্থলে অভিহিত হইলেন । ব্যাসদেব ও ক্ষত্ৰিয় এবং কায়ন্থের মধ্যে কোন পার্থক্য আছে বলিয়া মনে করেন নাই । তিনি বরং ক্ষত্ৰিয় কাৰ্ত্তিকের অগ্রজ কায়স্থ চূড়ামণি গণেশ দেবকে তাহার মহাভারত গ্ৰন্থ রচনার সহয়তা করিবার জন্য নিযুক্ত করিয়াছিলেন। গণেশ ও বস্তুত ক্ষত্ৰিয় হইয়া ও কায়স্থ স্বভাব-সম্পন্ন হেতু ক্ষত্রিয় ও কায়ন্থের মধ্যে প্ৰভেদ থাকিতে পারে বলিয়া বোধ করেন নাই। মহাভারতের যুদ্ধের পর আমরা বৌদ্ধগণের প্রাদুর্ভাব দেখিতে পাই । সমগ্ৰ ভারতবর্ষে বৌদ্ধগণ বিস্তারিত হওয়ায় বৌদ্ধমত সৰ্ব্বত্ৰই চলিতেছিল। বৌদ্ধগণ ক্রমে অত্যন্ত ক্ষমতাপন্ন হইয়া চতুৰ্ব্বৰ্ণ প্ৰথা একেবারে লোপ করিতে বসিয়াছিলেন। ঐ সময় হইতে সকল বর্ণ মধ্যে শূদ্রাচার প্রভূত পরিমাণে