পাতা:ব্রহ্মাণ্ডপুরাণ উত্তরখণ্ড রাধাহৃদয়.pdf/১১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১১০ ব্ৰহ্মাণ্ডপুরাণ উত্তর আমি অতিশয় ভীত হইয়াছি। এক্ষণে অন্য মনোহভিলষিত ৰূপ জামাকে দর্শন করাউন্‌ ! হে দেবি ! তোমাকে নমস্কার করি । ৫৮ ৷৷ প্রসন্ন যস্যমাতন্তং তস্য কিং দুর্লভং ভবেৎ। অনুগ্রাহ শুয়া মাতরহং কৃপণধী ভূশং।। ৫৯ ৷৷ নমঃ প্রসাদ মাতমে কৃপয়া বনমালিনং । ৰূপং দশয় দেবেশি স্বরূপং চিত্তরঞ্জনং।। ৬০ । অস্যার্থঃ । হে মাতঃ ! তুমি প্রসন্ন। যাহার প্রতি হও, ত্ৰিজগতেতাহার দুৰ্ল্লভ কি আছে ? আমি অতিশয় দীন, অতি দুঃখী, অতএব আমাকে তুমি অনুগ্রহ কর । হে দেবেশি ; তোমাকে নমস্কার করি প্রসন্ন হও । কৃপাকরতঃ স্বৰূপ চিত্তরঞ্জন বনমালীৰূপ আমাকে দর্শন করাউন । ৫৯৬০ । . ব্রহ্মোবাচ। ইতু্যদরিত মাকৰ্ণ্য পিত্রা সা বৃষভানুন । অপহৃত্য পুনর্দেবী অন্যন্দ্রপং সমাদপে । ৬১। অস্যার্থঃ । অঙ্গিরাকে ব্ৰহ্ম কহিতেছেন । পিতা বৃষভানুর এই বিনয়োক্তি শ্রবণ করতঃ জগন্মাতা রাধা ঐ বিশ্বৰূপ সংহবৰ্ণ পুৰ্ব্বক পুনৰ্ব্বার কমনীয় ও সুদর্শননীয় অন্য ৰূপ ধারণ করিলেন। ৬১ ৷৷ নব পাথোধর শু মে মিন্দীবর নিভচ্ছবি । বনমালা রাজিত ত্রীরাজিতোরঃ স্থলাম্বিতং ।। ৬২ ৷৷ অস্যার্থ । নবীন নীল নীরদন্তীয় শ্যামবর্ণ, ইন্দীবর সদৃশ কান্তি, গলদেশে দোদুল্যমান বনমালা পরিশোভিতা, শ্ৰীবৎসচিত্বে অঙ্কিত বক্ষঃস্থল বিরাজিত ॥৬২ । দ্বিভূজং কৌস্তুভোরক্ষং বেণুবাদন তৎপরং। গোপালবৃন্দ সংগীতৈ নৃত্যন্তং প্রমুদাম্বিতং ।। ৬৩ ৷৷ অস্যার্থঃ । দ্বিভূজ মুরুলীধর, কণ্ঠভূষণ কৌস্তুভমণির দীপ্তিতে উরঃ স্থল সুশোভিত, বেণুবাদন তৎপর হইয়া সংগীত পরায়ণ গোপবালকদিগের সহিত সহৰ্যে নৃত্য পরায়ণ হয়েন ।। ৬৩। প্রসন্ন পাথোরুহ সন্নিভাননং ভবাদিভি মৃগ্য তমাঞ্জি যুগ কং | সুনন্দনন্দ প্রমুখ। সভাজিতং শুভাঙ্গ বাস্ত্ৰক্ষি পদাম্বুজন্বিতং ।। ৬৪ অস্যার্থ। প্রস্ফুটিত সরোজসদৃশ প্রসন্নবদন, শিবাদি দেবগণ কর্তৃক অন্বেষিতব্য চরণারবিন্দ, সুনন্দ নন্দপ্রভৃতি প্রমুখ পার্ষদ গণে পরিবেষ্টিত, সৰ্ব্বাঙ্গসুন্দর, মুবাহু, শুভলোচন এবং ধ্বজবজাদি চিকুযুক্ত যুগলচরঃতল সুশোভিত ।। ৬৪ ।