পাতা:ব্রহ্মাণ্ডপুরাণ উত্তরখণ্ড রাধাহৃদয়.pdf/১৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

N38 ব্ৰহ্মাণ্ডপুরাণ উত্তর ইহ স্বীয় বুদ্ধিতে নিশ্চিত অবধারণা করিয়া ভূমিতলে দণ্ডবৎ, পতিও হইয় তাহাকে পুনঃ পুনঃ প্রণাম করতঃ বহুবিধ স্তব করিলেন । ১২৪ ৷৷ তাৎপৰ্য্য ! কিৰূপ স্তব করিলেন, তাহ ভাগবতে সুব্যক্ত আছে। এখানে প্রকাশ নাই; এক প্রস্তাব সকল পুরাণে বাহুল্য ৰূপে প্রকাশ কর। বেদব্যাসের অপ্রেত সিদ্ধ নহে। এক পুরাণে যে কথার উল্লেখ করিয়াছেন, অন্য পুরাণে আর তাহার বিস্তার করেন নাই। কিন্তু মূলানুগত প্রস্তাবানুসারে প্রসঙ্গত যৎকিঞ্চিং মাত্র বর্ণনা করিয়াtছন। দেখ ভাগবতে বিশেষ ৰূপ রাধার মাহাত্ম্য বর্ণনা করেন নাই, মাহাত্ম্য বর্ণনা থাকুক রাধানাম উল্লেখও করেন নাই। শুদ্ধ শ্ৰীকৃষ্ণের মহিমাতেই তাহার সম্যগংশ পরিপুর্ণ হইয়াছে। রাসাদি বর্ণনা স্থলে প্রসঙ্গতঃ প্রধান গোপী বলিয়া যথা কথঞ্চিৎ উল্লেখ মাত্র করিয়াছেন । এপুরাণে শুদ্ধ খ্রীরাধা মাহাত্ম্য বর্ণন সংকল্প বিধায় কৃষ্ণবির্ভাবাদি প্রসঙ্গ সংক্ষেপতঃ সুবর্ণিত হইয়াছে। ভাগবতে কৃষ্ণবির্ভাবে বসুদেব যেৰূপ স্তব করিয়াছিলেন, ইহাতে তাহা ন কহিয়া কেবল ঈশ্বর বুদ্ধিতে বসুদেব স্তৰ করিলেন এইমাত্র সংকেতানুসারে বর্ণনা করেন । অতএব যে যে স্থানে সংক্ষেপ বর্ণন, দৃষ্ট হইবে সেই সেই স্থানে এই অভিপ্রায় বোধ করিতে হইবে । ১২৪ । ততোহ্নষ্টেচুতে দেবঃ প্রাহতাতং ঘৃণানিধি । মেঘ গম্ভীরয়া বাচা প্রসন্ন পঙ্কজাননঃ । ১২৫ ৷৷ অন্যার্থঃ । এই বসুদেব কৃত স্তবে সংহৃষ্ট মন হইয়া প্রফুল্ল কমল বদন ভগবান অচ্যুত, অকিঞ্চন বিত্ত শ্ৰীকৃষ্ণ মেঘের ন্যায় অতি গম্ভীরস্বরে স্বপিত বসুদেবকে এই কথা বলিলেন । ১২৫ । শ্ৰীভগবানুবাচ। তাত মাং বিদ্ধি পরমং তপঃফল মুপগত । ইত্যুত্ত্ব সংজহারাশু ৰূপমৈশ্বর মুত্তমং। ১২৬। অস্যার্থঃ । ভগবান কহিলেন । হে পিতঃ ! তোমার পরম তপস্যার ফল স্বৰূপ আমাকে জ্ঞান করহ । এইমাত্র কহিয়া অতি সত্বর আত্ম পরমোত্তম ঐশ্বর ৰূপ সংহরণ করিলেন । ১২৬। তাৎপৰ্য্য। বসুদেবকে ভগবান এই আভাষে কহিয়াছেন, যে তোমার পুৰ্ব্বজন্ম কৃততপস্যার ফলে পুত্ৰৰূপে আমার আবির্ভাব হইয়াছে, তুমি পুৰ্ব্বে প্রশ্নি নামে বিখ্যাত ছিলে, শত রূপা নামী তোমার পত্নী, তোমরা দুইজনেসীমাকে পুল্ল ভাবে প্রাপ্ত হুইবার মানসে অনেক কঠিন