পাতা:ব্রহ্মাণ্ডপুরাণ উত্তরখণ্ড রাধাহৃদয়.pdf/২১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২১৪ ব্ৰহ্মাণ্ডপুরাণ উত্তর অতি সুদীর্যপাশ্ব, অলিম্বিত উদর, তাম্রবর্ণ গোপদাড়ী এবং লোহিতবর্ণ কুঞ্চিত কেশপাশ।। ৪৮ । জুস্তমানং মহাবক্তং বিস্তু ভাস্যং পথিস্থিতং। বীক্ষ্যসৰ্ব্ব ভয়োদ্বিগ্নঃ পুরোগত মিবান্তকং ।। ৪৯ । অস্যার্থঃ সৰ্ব্বদ জুম্ভমান মহামুথ অর্থাৎ মাংসলোলুপ হইয়া মুখবাদান পুৰ্ব্বক হাই তুলিতে লাগিল এই রূপে শ্রীরাধিকার আগমন পথে আসিয়া দণ্ডায়ান হুইল । মহাভয়ঙ্কর মূৰ্ত্তি সাক্ষাৎ কালান্তকাল যমৰূপ সেই রাক্ষসকে সম্মুখে অবস্থিত দেখিয়া শ্রীরাধার সর্থীগণের অতিশয় ভয়ে উদ্বিগ্নমনা হইলেন । ৪৯ । রোকয়মানাং কৃপণা মাৰ্ত্তবৎ পৰ্য্যদেবয়ন। বাচো বিক্রবিতা স্তা স্তা র্যর ভূর্শ দুঃখিতঃ ।। ৫০ । তাগ্রস্থা রক্ষসী ঘোর রূপেণাত্মান মাত্মনা || ৫১ ৷৷ অস্যার্থ সকল বালিকা গণের সেইভয়ঙ্কর মূৰ্ত্তি রাক্ষসকে সম্ম থে দর্শন করিয়া রোদনোন্মুখী ও অতিশয় দীনতাপ্রান্ত হইয়া অভ্যস্ত কাতর। হইলেন এবং ভয়যুক্ত চীৎকারধ্বনি করতঃ সকলে মহাদুঃখে রোদন করিতে লাগিলেন । ঘোররূপ রজনী চর কর্তৃক গ্ৰাসিত হইয়া সকলে প্রাণ পরীপসায় সঙ্কুচিত গাত্রা, অতি ব্যস্তসমস্ত হইলেন । ৫০ । ৫১ ৷৷ শ্ৰীদেবুবাচ। রাক্ষস গ্রস্তা সর্থীগণকে ব্যস্তসমস্থা দেখিয়া মহাদেবী শ্ৰীমতি রাধিক তখন ঐ জুর নিশাচরকে কহিতে লাগিলেন । ইত্যাভ্যাসঃ } আরে মানুষ মাংসাদ পাপাচার ন তেক্ষমং । গ্ৰস্তুং মনোজলক্রদে বিষপিণ্ডং যথামৃতঃ ।। ৫২ { অস্যার্থ। অরে পাপাত্মা মনুষ্যমাংস তুক্‌ রাক্ষস ! আমার এই সর্থীগণকে গ্রাসকরিলে তোর কোনমতে কল্যাণ হইবেন । যেমনদ্রদ স্থিত অগাধজলে বিষমিশ্রিত আহার গ্রাসকরিয়া মৎস্য সকল মৃত হয় ; সেই ৰূপ আমাদিগকে গ্রাস করিলে তোর জীবন রক্ষা কদাচ হইবে না । ত্যজমাং নাভিজানাসি জীবেপস যদিতে হৃদি । সবয়স্যা তদামাং তং ত্যন্ত মহাষরাক্ষস ॥ ৫৩। অস্যার্থ। অরে ক্রুর পলাশন আমাকে ত্যাগ কর। তুই আমার স্বৰূপ তত্ত্ব অনভিজ্ঞ, আমিকে তাহ জানিতে পারিস নাই। যদিতোর, বঁচিবার বাসন থাকে, তবে শীঘ্র আমার সখীগণের সহিত জামাকে ত্যাগ করিতে যোগ্য হও || ৫৩ ৷৷