পাতা:ব্রাহ্মধর্ম্মের ব্যাখ্যান - দ্বিতীয় প্রকরণ.pdf/১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ७ ] দিতেছে ; আমরা আপনারাই আপনার অনিষ্ট করিবার মানসে ক্ষিপ্তের ন্যায় নিজ মস্তকোপরি খড় গাঘাত করিতেছি । সাবধান, যেন তোমরা ঈশ্বর-নির্দিষ্ট ধৰ্ম্ম-পথের রেখামাত্রেরও বহির্গত না হও; কিন্তু যদি মোহ-বশত: কখন তাহার ধৰ্ম্ম-সেতু উল্লঙ্ঘন কর, তবে স্বাপরাধ স্বীকার করিয়া তাহারই পদতলে ক্ষম প্রার্থনা কর । তাচার রাজ্যে দোষী হইয়। আর কোথায় পলায়ন করবে ? গিরিগুহ কাননে, নিজ ন গহনে, সমুদ্র পৰ্ব্বতে, ইহ লোকে পর লোকে, সকল স্থানেই তাছার সিংহাসন প্রতিষ্ঠিত আছে—ত্রিভুবনে এমন স্থান নাই, যেখানে তাছা হইতে লুক্কায়িত থাকা যায়। তিনি বিশ্ব তশক্ষু, তিনি বিশ্বতোমুখ, তিনি বিশ্ব ভস্পাৎ ; তিনি বিশ্ব সংসারে একে বারে ওতপ্রেণত হইয়া আছেন । র্তাহার ভয় হইতে আমরা কোথায় যা ইয়া রক্ষা পাইতে পারি ? কোথাও ন । রক্ষা পাইতে হইলে এক মাত্র তাঙ্গরই শরণাপন্ন কইতে হয় । তিনি র্তাহার শরণাগত ভক্তকে কখন পরিত্যাগ করেন না, তিনি তাহাকে পাপ-তাপ হইতে মুক্ত করিয়া কৃতাৰ্থ করেন। যদি সেই করুণাময় পিতার পবিত্র ও প্রসন্ন মূৰ্ত্তি দেখিতে চাও, তবে প্রাণ মন শরীরের সহিত র্তাহার আদেশ, তাহার ধৰ্ম্ম-নিয়ম-সকল, পালন কর –পবিত্রতাকে হৃদয়ে ধারণ কর । অহোরাত্র আপনার চরিত্র সংশোধন কর, আহোরাত্ৰ ভঁtহাতে প্রীতি ও তাহার প্রিয় কার্য্য সাধন কর । যদি কখন প্রলোভনের মলিন পঙ্কিল কর্দমে পতিত হইয়া ধৰ্ম্ম হইতে ভ্ৰষ্ট হও, তবে বার বার বলতেছি যে ঈশ্বরের নিকটে ক্ৰন্দন করিও, তাহারি নিকটে ক্ষমা প্রা