পাতা:ব্রাহ্মধর্ম্মের ব্যাখ্যান - দ্বিতীয় প্রকরণ.pdf/২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| >g র্ত{হ হইতে ভিন্ন রহিয়াছে । সেই রেণুর এমন কিছু শক্তি নাই, যাহা তাহার শক্তি হইতে বিযুক্ত রহিয়াছে । সকল সত্তা তার শক্তিতে শক্তিমান হইয় প্রকাশ পাইতেছে ; তিনি মুল-শক্তি, সকলের আদি কারণ, আর সকলই তাহার আশ্রিত। তিনি স্বয়ম্ভ, স্বতন্ত্র, স্বপ্রকাশ। সেই মঙ্গল-স্বৰূপের মঙ্গল-রাজ্যে আমরা বাস করিতেছি । আমরা সকলেই সেই অমৃত-স্বৰূপের সস্তান, অমর। র্তাহারই আশ্রয়ে প্রতিষ্ঠাবান হইয়াছি । আমরা সেই মঙ্গলময়ের অসীম রাজ্যের প্রজ । সম্পত্তি কি বিপত্তি, সুখ কি দুঃখ, দিব। কি রাত্রি—সকলই “ একায়নং ”—সকলেরই গতি সেই মঙ্গলের দিকে । সকলে মিলিয়া সেই মঙ্গলাবহের শুভ সঙ্কপ সিদ্ধ করিবার জন্য উন্মুখ রহিয়াছে। যে কিছু ঘটনা, যাহাতে আমরা মুখী হই বা দুঃখী হই, আমরা বিপদে অভিভূত হই, বা সম্পদেই প্রফুল্লিত হই; সেই বিপদে সম্পদে তাল্পর করুণ। মূদ্রিত রহিয়াছে । যখন আমরা তাহার ধৰ্ম্ম-রাজ্যের মঙ্গল বিধান-সকল অতিক্রম করিয়া দণ্ড ভোগ করি, তখনও তাহার করুণা। যখন পুণ্যের পুরস্কার লাভ করিয়া প্রসন্ন হই, তখনও তঁহার করুণ। তিনি সৰ্ব্ব ক্ষণ অামারদের সঙ্গে সঙ্গে থাকিয়৷ পুণ্যের সমান পুরস্কার দিতেছেন, পাপের সমান দণ্ড বিধান করিতেছেন । ধৰ্ম্ম-রাজ্যের রাজ-দণ্ড তাহার হস্তে সমৰ্পিত রহিয়াছে । তাহার শাসন হইতে কেহই কোথাও পলায়ন করিতে পারে না। যখনি পাপাচারী বিদ্রোহীরা সেই সৰ্ব্ব মঙ্গলালয় পরমেশ্বরের মঙ্গল-নিয়ম খণ্ডন করে, সেই অখিল বিধাতার মঙ্গল