পাতা:ব্রাহ্মধর্ম্মের ব্যাখ্যান - দ্বিতীয় প্রকরণ.pdf/৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ २२ ] দিগকে পুনর্বার বলি ষে শাস্ত দাস্ত উপরন্ত সমাহিত হইয়া প্রিয়তম পরমেশ্বরকে অন্তরে দেখ, তখন তাহ। আর তোমারদের তত কষ্ট-সাধ্য বোধ হয় না । নিঃশ্বাস প্রশ্বাস যেমন সহজে চলিতেছে, ঈশ্বরও সেই প্রকার আম|রদের অন্তরে আসিয়া মুহুমু হুঃ সাক্ষাৎ দিতেছেন, আবার সেখান হইতে র্তাহার শুভ্ৰ জ্যোতি পৃথিবীতে বিকীর্ণ দেখিয়া পরিতৃপ্ত হইতেছি । এক বার নির্মীলিত নয়নে আত্মার নিভৃত নিলয়ে, সুরম্য নিকেতনে, প্রিয়তমের দর্শন পাইতেছি—আবার পর ক্ষণে নেত্র উন্মীলন করিয়া এই জগতীতলে তাহার মঙ্গল কিরণ বিকীর্ণ দেখি তেছি । ব্রাহ্মধৰ্ম্ম—আমাদের ব্রাহ্মধৰ্ম্ম, পবিত্র ব্রাহ্মধৰ্ম্মের প্রসাদে ঈশ্বরের বিশুদ্ধ পূজা আমরা শিক্ষা করিয়াছি। যেমন নিঃশ্বাস প্রশ্বাস বহন করিয়া জীবন ধারণ করিতেছি ; সেই ৰূপ আন্তরে পরমেশ্বরকে দেখিয়া আবার জগৎ সংসারে তাহার প্রভা বিকীর্ণ দেখিয়া, আত্মার জীবন পরিপালন করিতেছি । যখন এই ব্রাহ্মসমাজের পবিত্র বেদীতে অালীন হইয়া সম্ভাবে সাধু-ভাবে ব্রহ্ম-পরায়ণ ব্রাহ্মদিগকে বলি যে হৃদয়েশ্বরকে হৃদয়ে প্রত্যক্ষ দেখ, তখন তাহ। সহজ কথার ন্যায় বোধ হয় । এই ক্ষণে শরীর-পিঞ্জরে অন্তদৃষ্টি দ্বারা তোমাদের অtয়াকে দেখ । শরীরের যে উত্তাপ ও সেই উত্তাপের সাধন যে অনল, জল, বায়ু, তাহার সঙ্গে আত্মার অতি আস্থায়ী পার্থিব সম্বন্ধ । আকাশ-যাহ শরীরের অবলম্বন, যাহা সমুদায় জগতের অবলম্বন, তার সঙ্গে আত্মার তো কিছুই যোগ নাই । আত্মার যোগ পরমাত্মারই সঙ্গে ; আত্মার পরমণকাশ