পাতা:ব্রাহ্মধর্ম্মের ব্যাখ্যান - দ্বিতীয় প্রকরণ.pdf/৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ৩৭ ] উজ্জ্বল হইয়া নুতন শোভা প্রকাশ করতে থাকে। এদিকে সংসার, ও দিকে ঈশ্বর ; ধৰ্ম্ম সন্ধি-স্থলে । ধৰ্ম্ম পৃথিবীর বন্ধু, ধৰ্ম্ম মৃত্যুর পরে পর কালের নেতা ! ধৰ্ম্ম ইহ কালে রক্ষা করেন—ধৰ্ম্ম ধাত্রীর ন্যায় হস্ত ধারণ করিয়া ঈশ্বরের নিকট লইয়া যান। সেই ধৰ্ম্মকে রক্ষা কর । “যুবৈব ধৰ্মশীলঃ হ্যাৎ । ” আমরা কেবল বৃক্ষ লতার ন্যায় নয়, যে শরীরই আমারদের সর্বস্ব। আমরা স্বাধীন পুরুষ । আমরা বিজ্ঞানাত্মা । আমরা সেই মহান জন্মবিহীন অমৃত আমার পুত্র। আমারদের আকর ভূমি সেই পরমাত্মা । শরীর যদিও বৃক্ষের ন্য{য় উৎপন্ন হইতেছে—শস্যের ন্যায় জীর্ণ হইয়। যাইতেছে ; কিন্তু পরমাত্মার সঙ্গে আত্মার অনন্ত যোগ । যৌবন কালের যে সকল বিষয়-লালসা, যে সকল ভোগাভিলাষ, তাহা এক সময় থাকিবে না—যে সকল সুখ-প্রবৃত্তি, তাহার খৰ্ব্ব হইবে—ধন বিষয় লইয়। যে স্ফীত ভাব, তাহ অবসন্ন হইবে—শরীর জীর্ণ হইবে— অস্বাদ রসে রমন। সে প্রকার তৃপ্ত হইবে না—বিষয়-সুখে যে প্রকার সুখ বোধ হইবে না, রিপুসকল দুৰ্ব্বল হইয়। পড়িৰে । এ সকলই ঘটবে কিন্তু সে সময় ঈশ্বরের প্রতি নির্ভরের ভাব অধিক হইবে, ধৰ্ম্ম কাষ্ঠী-ভাব ধারণ করবে— আত্মা শরীর-পঞ্জর অনায়াসে পরিত্যাগ করিয়া নিত্য ধামে গমন করিবে । সুস্থ-শরীর জীব-সকল যেমন বাল্যের পর যৌবন, যৌবনের পর জরা সহজেই প্রাপ্ত হয় ; জরার পর ধৰ্ম্মাত্মা সেই ৰূপ সহজেই মৃত্যুর পর পারে উত্তীর্ণ হয়েন । সেই দন্ত-হীন শুক্ল-কেশ ধৰ্ম্ম-পরয়ণ বৃদ্ধ বিগতযৌবন হইয়া যৌবনের মুখ্যভাবে সন্তাপ করেন না ; কিন্তু