পাতা:ব্রাহ্মধর্ম্মের ব্যাখ্যান - দ্বিতীয় প্রকরণ.pdf/৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ to } মৈত্রেয়ী উtহাকে জিজ্ঞাসা করিলেন যে হে স্বামিম যদি এই সমুদয় পৃথিবী বিত্তেতে পূর্ণ হয়, তবে ইহার দ্বারা আমার অমৃত লাভ হয় কি না ? “ নেতি মেতি হোবাচ যাজ্ঞবল্ক্যঃ ” যা জ্ঞবলক উত্তর করিলেন, তাহ হয় না— “ষথৈবোপকরণবতীং জীবিতং তথৈব তে জীবিতং স্যাৎ”— কতকগুলিন উপকরণ লইয়া সংসারী ব্যক্তির জীবন যে, প্রকারে গত হয়, তোমারও জীবন সেই প্রকার হইবে । “অমৃতস্য তু নাশাস্তি বিত্তেন ? বিত্তেতে অমৃতত্বের আশ। নাই। এই সকল অস্থায়ী অধ্রুব বস্তু দ্বারা সেই নিত্য সত্য বস্তুকে প্রাপ্ত হওয়া যায় না “ন হঞ্জবৈঃ প্রাপ্যতে হি ধ্ৰুবং তং । ” ইহা শুনিয়। মৈত্রেয়ী বলিলেন, “যেন হং নামৃত স্যাং কিমহং তেন কুৰ্য্যাং ” যাহার দ্বারা আমি অমৃত ন হই, মুক্ত ন হই, ঈশ্বরকে ন পাই, তাহ লইয়া আমি কি করিব ? সকলেরই এক এক সময়ে এই প্রকার অভাব বোধ হয় । যখন জীবনের মহান লক্ষ্য মনেতে প্রতিভাত হয় ; তখন সংসার আমারদের হৃদয়কে পূর্ণ করিতে পারে না— সংসারের সমুদয় সম্পত্তি সেই গভীর অন্তরিক অভাব মোচন করিতে পারে না । তখন তৃষ্ণাৰ্ত্ত মৃগের ন্যায় ঈশ্বরকে সৰ্ব্বত্র অন্বেষণ করি—সকলকেই জিজ্ঞাসা করি ; যেখানে তার কোন চিহ্ন পাই, সেই খানেই যাই । যেখানে সাধু-মণ্ডলী একত্র হয়—যেখানেই তার গুণ কীৰ্ত্তন হয়; সেই খানে গমন করি। প্রথমে হৃদয়ে অভাব বোধ হয়—পরে ব্যাকুলত আইসে—জিজ্ঞাসা উপস্থিত হয়— সৰ্ব্বত্র অন্বেষণ করি । আপনাকে পবিত্র রাখিবার ইচ্ছ।