পাতা:ব্রাহ্মধর্ম্মের ব্যাখ্যান - দ্বিতীয় প্রকরণ.pdf/৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ *) ] হয় ; কেন না জানিতে পারি, যাহাকে চাহিতেছি, তিনি সুদ্ধমপাপবিদ্ধং । পরে ঈশ্বরের নিকটে সমুদয় হৃদয়ে প্রার্থনা করি —তাহাকেই সৰ্ব্বস্ব সমর্পণ করি এবং উহার প্রেম-মুখ দেখিয়া কৃতাৰ্থ হই । হয়ত আপনাকে পবিত্র কুরিতে পারি নাই—হয়ত কোন গৃঢ় পাপ অন্তরে পোষণ করিয়া রাখিয়াছি, তাহ। পরিত্যাগ করতে পারিতেছি না; তখন মনে করি, কেন ঈশ্বরকে দেখিতে পাই না । কিন্তু যখনি সেই পাপ-প্রবৃত্তিকে বলিদান দিয়া অকৃত্রিম ভাবে হৃদয়ের দ্বার উদঘাটন করি, তখন তার মধ্যে র্তাহাকে দেখিতে পাই । ঈশ্বরের সঙ্গে অণ স্নার সঙ্গে এই প্রকার যোগ । যখন অস্তরের বিষাদ-অন্ধকারের মধ্য হইতে সেই স্বপ্রকাশ হুর্যের উদয় দেখিতে পাই, তখন কি সম্পদ না লাভ করি । তখন শরীর রোমাঞ্চিত হয়—নেত্র-যুগল প্রেমাশ বিসর্জন করে—হৃদয় বিমলানন্দে পূর্ণ হয় । কিন্তু এ আনন্দ আমরা ধারণ করতে পারি না । ঈশ্বর-রত্নকে হৃদয়ে রক্ষা করতে পারি ন; , তিনি এক বার আসেন, অবির থাকেন না । সময়ে সময়ে দেখ। দেন-অপমরাও কৃতাৰ্থ হই । কিন্তু যেমন ইচ্ছা, সে প্রকার তাহাকে পাই না । তার সেই আনন্দ ভাব মঙ্গল-ভাব এক বার প। ইয়া আমারদের তৃষ্ণ শত গুণ বৃদ্ধি হয় । কোথায় সজ্জন ভগবজনের সাক্ষাৎ পাই ; কোন স্থানে গেলে এই মাস্তরিক স্পৃহা তৃপ্ত হয় ; কি প্রকার কৰ্ম্ম করিলে, কি প্রপ্রকার মনের ভাব হইলে, ঈশ্বরকে হৃদয়ে রক্ষণ করিতে পারি, তখন তাঙ্গাই দেখি । তখন ইচ্ছা ও প্রার্থনা শত গুণ বল ধারণ করে । তখন ঈশ্বরকে বলি, যখন হৃদয়ে