পাতা:ব্রাহ্মধর্ম্মের ব্যাখ্যান - দ্বিতীয় প্রকরণ.pdf/৭৩

{ موقف ] আর এক জনের হৃদয়-বন্ধু। কারণ দুই জনের লঞ্চ সম্পূর্ণ বিপরীত । একজন স্বার্থপরতা চরিতীর্থ করিবার জন্য সংসারে ভ্রমণ করেন, আর এক জন ঈশ্বর-লাভের উদ্দেশে সংসার-ধৰ্ম্ম পালন করেন । যাহারদের ঈশ্বরেতে বিরাগ ও বিষয়েতে অনুরাগ ; তাহার। স্বীয় হৃদয়ে ঈশ্বরের আনন্দৰূপ অমৃত-ৰূপ দৈখিতে পায়ন । বিষয় লোলুপ ও মোহান্ধ হইয়া পাপগ্নিকে রত্ন বোধে গ্রহণ করিতে যায়, দগ্ধ হইয়। ফিরিয়া আইসে । মস্তকে ধৰ্ম্ম-দণ্ড সহ করে ; ঈশ্বরকে দেখে যে তিনি উদ্যত বজের ন্যায় ভয়ানক। তাহারা অন্যয়ার্জিত সম্পত্তি ও পাপ-প্রবৃত্তিকে পিসজ্জন দিয়া তাহার শরণাপন্ন হইতে চাহে না, তাহারা তাহা হইতে দুরেই যায় এবং দূরে থাকিবার অভিলাষ করে—সুতরাং নির্ভয় হইতে পারে না, সংসার মোহে মুগ্ধ থাকিয় শোকই করিতে থাকে । তাহার দিগকে এই সকল যন্ত্রণ তাড়ন। কেন ভোগ ‘ করিতে হয় ? ঈশ্বরের অভিপ্রায় এই যে তাহার বিষয়-সুখেতেই তৃপ্ত না থাকুক । তাহারা অপনার হীন লক্ষ্য পরিত্যাগ করুক। তাহার। জন-সেব্য ভীষণ অরণ্য হইতে মাপন পিতার মালয়ে ফিরিয়। অমুক, যেখানে মোহ শোকের বল নাই, সংসার যন্ত্রণার ধার নাই, পাপ তাপের অধিকার নাই । বিষয় যাহীদের লক্ষ্য, স্বর্গে গিয়াও তাহারদের শান্তি নাই । বিষয়ীর স্বর্গ কেবল বিষয়সুখেই পরিপূর্ণ। বিষয়ী ব্যক্তি মৃত্যুর পুরেও পৃথিবীর ধুলিকে স্বৰ্গে লইয় যাইতে চাহে । তিনি যদি কখনো নিষিদ্ধ বিষয়-সুখ