পাতা:ব্রাহ্মধর্ম্মের মত ও বিশ্বাস - দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৬
তৃতীয় উপদেশ।

বিষয়ের সংস্পর্শে মনেরই সুখ লাভ হয়, তাহাতে আত্মার পরিতোষ হয় না। আত্মার যে আনন্দ, সেই মঙ্গলস্বরূপের আবির্ভাবই তাহার কারণ। সেই আনন্দ-স্বরূপের প্রসন্ন মূর্ত্তিই সে আনন্দের জননী। এই ভূমানন্দের সঙ্গে সঙ্গে সেই মহান্ পুরুষের নিকট সম্বন্ধ অনুভূত হয় এবং তাঁহাকে প্রত্যক্ষবৎ প্রতীতি করা হয়। কিন্তু এই উজ্জ্বল পবিত্র ব্রহ্মানন্দ যে কি আনন্দ তাহা প্রতি জনের পরীক্ষার কথা; স্বীয় স্বীয় আত্মাতে ইহার পরীক্ষা ব্যতীত কাহারও বোধগম্য হইবার সম্ভাবনা নাই। ব্রহ্মানন্দ যে কি মহান্ আনন্দ, তাহা বাক্যেতেও ব্যক্ত হয় না এবং উপদেশ দ্বারাও বুঝান যায় না। কিন্তু ইহা নিশ্চয় যে যাহারা মনুষ্য জন্ম ধারণ করিয়াছে, তাহারা সকলেই সমান রূপে সেই আনন্দ-রস পানে অধিকারী। ঈশ্বর সকলেরই সাধারণ সমৃদ্ধি এবং তিনি প্রত্যেকেরই নিজস্ব ধন। সকল অবস্থার লোকেই জগৎ-পিতার নিকট গমন করিতে পারে এবং সকল অবস্থার লোকেই তাঁহার পবিত্র সহবাস লাভে অধিকারী। আত্মম্পৃহারূপ স্বর্গীয় অগ্নি প্রচ্ছন্ন ভাবে বা প্রজ্জ্বলিত রূপে সকলেতেই আছে। কিন্তু এমন আশ্চর্য্য অগ্নির উদ্দীপন হয় না বলিয়া এক্ষণে উহা নির্ব্বাণপ্রায় হইয়া যাইতেছে। ঈশ্বরের এক অমূল্য অতুল্য দান আমরা তুচ্ছ করিতেছি। উর্দ্ধ্ববাহুর হস্তের ন্যায় আমাদের আত্মাও অসাড় হইয়া যাইতেছে। এ দেশের এহ্মণে যে প্রকার অবস্থা হইয়াছে, তাহাতে যে ঈশ্বরের ভাব কিছুমাত্র পরিস্ফুট হয়, ইহাই আশ্চর্য্য। বাল্যকালে কেবল অপরা বিদ্যার