পাতা:ব্রাহ্মসমাজের বর্ত্তমান অবস্থা এবং আমার জীবনে ব্রাহ্মসমাজের পরীক্ষিত বিষয়.pdf/১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ s ] হিন্দু ধৰ্ম্মৈর শাসন অতি চমৎকার! ইংরেজি ভাষা শিক্ষা এবং ইংরাজদিগের সহবাস, খৃষ্টান ধৰ্ম্মের প্রাদুর্ভাব, বিলাতি সভ্যতার বাহিক আকর্ষণ এই সকল কারণে সুরাপান ভারতবর্ষে অধিক প্রচলিত হইয়াছে। পূৰ্ব্বোক্ত কারণগুলির একটীরও সাহয্য না পাওয়াতে ঘোর পাড়ার্গেয়ে অসভ্য হইয়া সুরাপায়ীদিগকে বিলক্ষণ রূপে গালি বর্ষণ করিতাম। তখন আমি অসভ্য না থাকিলে নিশ্চয়ই প্রধান প্রধান লোকের ন্যায় আমিও সুরাপায়ী হইতাম, তাহাতে কিছু মাত্র সন্দেহ নাই। এই দুঃখের সময় এক দিন মনে হইল যে বগুড়ান্থ বন্ধুত্রয় ব্রাহ্মসমাজে যাইতে অনুরোধ করিয়াছেন, অদ্য বুধবারে একবার ব্রাহ্মসমাজে যাইতে হইবে। ব্রাহ্মসমাজ দেখিবার পূৰ্ব্বে আমার সংস্কার ছিল যে ব্ৰহ্মজ্ঞানীরা কেবল তবলা বাজাইয় গান করে, বেদ পাঠ করে, অবশেষে সুরাপান ও মাংস ভোজন করে। ব্রাহ্মসমাজ সম্বন্ধে কতদূর অজ্ঞতা থাকিতে পারে, তাহ আমি বিলক্ষণ অনুভব করিয়াছি। সায়ংকাল উপস্থিত হইলে ব্রাহ্মসমাজে গমন করিলাম। সমাজের আলোক মালা, তাল মান সংযুক্ত মধুর সংগীত, ভক্তিভাবে স্তোত্র পাঠ, বহু সংখ্যক লোকের গভীর ভাব এই সকল দর্শন ও শ্রবণ করিয়া আমি ব্রাহ্মসমাজকে স্বৰ্গধাম বলিয়া হৃদয়ঙ্গম করিতে লাগিলাম। আমার পূর্বের সংস্কার তিরোহিত হইল। পরে ভক্তিভাজন বাবু দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর স্বৰ্গীয় ভাবে বস্তৃতা