পাতা:ব্রাহ্মসমাজের বর্ত্তমান অবস্থা এবং আমার জীবনে ব্রাহ্মসমাজের পরীক্ষিত বিষয়.pdf/১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| 9 | আসিলাম। প্রতিদিন প্রার্থনা করিয়া কি অপার শাস্তি লাভ করিতে লাগিলাম তাহ ব্যক্ত করা যায় না। ধৰ্ম্ম সম্বন্ধে যাহা কিছু জ্ঞাতব্য হইত, তখনই নির্জনে প্রার্থনা করিয়া দয়াময় পিতার নিকট প্রশ্ন করিয়া উপযুক্ত উত্তর প্রাপ্ত হইতাম । যে দিন যে সত্য লাভ করিতাম তাহ লিখিয়া রাখিতাম । সেই লেখা গুলি সংগ্ৰহ করিয়াই ‘ধৰ্ম্মশিক্ষা পুস্তক খানি প্রকাশ করা হয়। যখন পুস্তক খানি প্রকাশ করি, তখন মনে করিয়াছিলাম যে, ব্রাহ্মধৰ্ম্মের সহিত হয়ত আমার পুস্তকের মিল হইবে না ; কিন্তু যখন ভক্তিভাজন কেশববাবু পুস্তক খানি আদ্যোপাস্তু পাঠ করিয়া অনুমোদন করিলেন, তখন আমার আহ্বাদের সীমা পরিসীমা রহিলন । বিশ্বাস জারে দৃঢ় হইল। দয়াময় পরমেশ্বর যে গুরু হইয়া অজ্ঞানকে জ্ঞান দান করেন, তাহাতে কিছু মাত্র সন্দেহ নাই। অস্তুরে দয়াময়ের চরণাশ্রয়ে শাস্তি লাভ করিয়া বগুড়ায় গমন করিলাম । বগুড়ায় বন্ধুগণ আমার পরিবর্তন দেখিয়া অপার আনন্দ লাভ করিলেন। সেখানে কিছুদিন থাকিয় মেডিকেল কলেজে ভরতি হইয়া কলিকাতায় চলিয়া আসিলাম। কলিকাতায় আসিবার সময় কিছুদিন শাস্তিপুরে অবস্থিতি করিয়াছিলাম। একদিন আলোচনা করিতেছি যে, পরমেশ্বর সমস্ত মনুষ্যকে স্বজন করিয়াছেন, তিনি সকলের পিতা মাতা। এইজন্য প্রত্যেক নরনারীকে ভ্রাতা ভগ্নী বলিয়া বিশ্বাস করিতে হইবে। সৰ্ব্বব্যাপী ঈশ্বর সকলেরই অন্তরে বাস