পাতা:ব্রাহ্মসমাজের বর্ত্তমান অবস্থা এবং আমার জীবনে ব্রাহ্মসমাজের পরীক্ষিত বিষয়.pdf/১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ s ] করেন, তিনি কাহাকেও ঘৃণা করেম না, সুতরাং মনুষ্য মনুষ্যকে ঘৃণা করিলে মহাপাপ হয় সন্দেহ নাই। অতএৰ জাতিভেদ স্বীকার করিলে ঈশ্বরকে পিতা বলিয়া বিশ্বাস করা হয় না। এই বিষয় আলোচনা করিতেছি এমন সময়ে একাদশ বর্ষ বয়স্ক একটী বালক বলিয়া উঠিল যে, যদি তুমি জাতিভেদ মান না তবে পইতা রাখিয়াছ কেন ? তৎক্ষণাৎ বালকের কথা ঠিক্‌ বোধ হইল, তখনই তাহার সাক্ষাতে উপবীত ত্যাগ করিলাম। বালকট তখনই আমার মাতা ঠাকুরাণীর নিকট উপবীত ত্যাগের কথা প্রকাশ করিয়া দিল। মাত৷ ঠাকুরাণী উদ্বন্ধনে প্রাণত্যাগ করিতে গমন করিলেন দেখিয়া পুনৰ্ব্বার উপবীত গ্রহণ করিলাম। পরে মেডিকেল কলেজে আসিয়া অধ্যয়ন করিতে লাগিলাম। এই সময়ে শ্রবণ করিলাম যে ব্রাহ্ম ধৰ্ম্মে দীক্ষিত হইতে হয়। ইহা শুনিয়া দীক্ষিত হইতে অত্যন্ত অভিলাষ হইল। দীক্ষিত হইলে ধৰ্ম্মভাব বৃদ্ধি হয়, সুতরাং অবিলম্বে কলিকাতা ব্রাহ্মসমাজে ভক্তিভাজন দেবেন্দ্র বাবুর নিকট দীক্ষিত হইলাম। উপবীত ত্যাগ না করাতে আমার মনে অত্যন্ত অশান্তি হইতে লাগিল। এমন কি প্রতিদিন প্রার্থনার সময় স্থায় কম্পিত হইত। লোকে বলে “পইতা কি গায়ে কামড়ায় ?” বাস্তবিক ইহা কাল ভুজঙ্গের স্থায় প্রতিদিন দংশন করিতে লাগিল। উপবীত রাখা অসত্য ব্যবহার । অসত্য ব্যবহার করিলে ঈশ্বর দর্শন হবে না। এই ভয়ে আমার প্রাণ অস্থির