পাতা:ব্রাহ্মসমাজের বর্ত্তমান অবস্থা এবং আমার জীবনে ব্রাহ্মসমাজের পরীক্ষিত বিষয়.pdf/২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ১৩ ] এই সময়ে একবার শান্তিপুরে বাটীতে গমন করিলাম । আমি গমন করিব মাত্র মহা আন্দোলন উপস্থিত হইল । শাক্তিপুর শুদ্ধ লোক আমার উপর খড়গ হস্ত হইয়া উঠিল। পথে বহির্গত হইলে কেহ গালি দিত, কেহ ধূলি নিক্ষেপ করিত, কেহ বা প্রহার করিতে উদ্যত হইত। র্যাহারা ব্রাহ্ম বলিয়া পরিচয় দেন, তাহারাও বাতুল বলিয়া উপহাস করিতে লাগিলেন । ব্রাহ্ম হিন্দু সকলেই আমাকে যৎপরোনাস্তি অপমান করিতে লাগিলেন। এদিকে মাতা ঠাকুরাণী উপবীত আনিয়া প্রদান করিলেন, তাহ আমি গ্রহণ করিলাম না দেখিয়া তিনি আমার পায়ে পড়িয়া উচ্চৈঃস্বরে কান্দিতে লাগিলেন । মাতা ঠাকুরাণীর এইরূপ ব্যবহারে আমি মূচ্ছিত হইয়া পড়িলাম। কিছুক্ষণ পরে চেতন হইয়া বলিলাম যে, “যদি আমাকে পুনৰ্ব্বার উপবীত গ্রহণ করিতে হয়, তাহ। হইলে নিশ্চয়ই প্রাণত্যাগ করিব, আমি আর অসত্যকে ধারণ করিব না।” মাতা ঠাকুরাণী আমার অভিপ্রায় বুঝিতে পারিয়া বলিলেন যে, “তুমি আর পইতা গ্রহণ করিও না, যখন তোমার পইতা হয় নাই তখন যেরূপ ছিলে এখনও তাহাই মনে করিব—তুই বেঁচে থাকৃ।” মাতার এই আদেশ শুনিয় মনে মনে দয়াময় ঈশ্বরকে সহস্ৰ সহস্র ধন্যবাদ অপর্ণ করিলাম। ষে পিতার শরণাপন্ন হয়, কেহই তাহাকে ধৰ্ম্ম হইতে বিচ্ছিন্ন করিতে পারে না । মাত ঠাকুরাণী ক্ষাত্ত হইলেন, কিন্তু অগ্রজ মহাশয় হিন্দুসমাজ কর্তৃক উত্তেজিত &