পাতা:ব্রাহ্মসমাজের বর্ত্তমান অবস্থা এবং আমার জীবনে ব্রাহ্মসমাজের পরীক্ষিত বিষয়.pdf/২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ 58 ) হইয়া প্রকাশ্য সভা আহ্বান করিয়া জামাকে পরিত্যাগ করিলেন। প্রধান প্রধান গোস্বামীগণ আমাকে বলিলেন যে, “তুমি শাস্তিপুর ত্যাগ কর, নতুবা তোমার দৃষ্টান্তে অনেকের অনিষ্ট হইবে।” আমি বলিলাম যে আপনাঙ্গের আশীৰ্ব্বাদে যদি শান্তিপুরে বাস করিয়া ইহার কিছু উপকার করিতে পারি, তাহা হইলে আমার জীবন সফল হয়। আমার বিশ্বাস যে, হয়ত কালেতে এই ঠাকুর ঘর ব্রাহ্মসমাজ হইতে পারে। এই কথা শুনিয়া আমাকে সমাজচ্যুত করিয়া সকলে প্রস্থান করিলেন। সেই বারেই শান্তিপুরে একট ব্রাহ্মসমাজ সংস্থাপিত হইল। কুসংস্কারাপন্ন শান্তিপুরে ব্রহ্মোপাসনা হইল ইহা অপেক্ষ সুখের বিষয় কি আছে ? ব্রাহ্মদিগের জীবনে ব্রহ্মোপাসনা ও সত্য পালনে দৃঢ়তা থাকিলে শান্তিপুরের বিশেষ উপকার হইত। ব্রাহ্মদিগের স্ব স্ব জীবনের প্রতি বিশেষ দৃষ্টি না থাকাতে ব্রাহ্মসমাজে অনেকের অশ্রদ্ধা হইল। বিশুদ্ধ জীবনই ধৰ্ম্ম প্রচারের প্রধান অবলম্বন। জাষ্ট্ৰীয় বন্ধু সকলেই পরিত্যাগ করিলেন, কেবল আমার ভগ্নীপতি শ্ৰীযুক্ত কিশোরী লাল মৈত্র মহাশয় আমাকে ত্যাগ করিলেন না। তিনি ত্যাগ করিলেন না বলিয়া আমার ভগ্নী শাস্তিপুরের বাটতে স্থান পাইলেন না। অগত্য মৈত্র মহাশয় স্তাস্থাকে কলিকাতায় লইয়া আসিলেন। তাহাকে বাগান্ধু জানিলে আমাদের বাসায় প্রতিদিন পারিবারিক উপাসনা হইতে লাগিল। এক মাসের পর জামার পূজনীয়া জ্যেষ্ঠা