পাতা:ব্রাহ্মসমাজের বর্ত্তমান অবস্থা এবং আমার জীবনে ব্রাহ্মসমাজের পরীক্ষিত বিষয়.pdf/২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ s१ } বিদ্যালয় সংস্থাপন করিলাম, কিন্তু অর্থাভাবে বিদ্যালয়ীি স্থায়ী হইল না। জ্ঞানের চর্চা না হওয়াতে বাগ অ চড়ার অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয় হইয়া উঠিল। ধৰ্ম্মে গাঢ় অনুরাগ থাকিলে ঘোর মুখও ধৰ্ম্মপথে স্থির থাকিতে পারে, নতুবা মূৰ্খতাদ্বারা ধর্মের বিশেষ হানি হয়। মহাত্মা চৈতন্যের বিশুদ্ধ ভক্তিময় ধৰ্ম্ম, অধিকাংশ মূখ লোকের হস্তে পড়িয়া কলঙ্কিত হইয়া গেল। বাগ আঁচড়ার অবস্থাও প্রায় সেইরূপই হইতেছে। কতকগুলি লোক ব্যভিচারকে ধৰ্ম্মের নামে প্রচলিত করিতে চেষ্টা করিতেছে। অনেকেই প্রতিদিন উপাসনা করে না, অথচ দেবদেবীর পূজাতে উৎসাহ দিয়া থাকে। জ্ঞান চর্চা ভিন্ন এই সকল অভদ্র ব্যবহার হইতে কিরূপে রক্ষা পাওয়া যায় ? প্রত্যেক ব্রাহ্ম যদি ব্রাহ্মধৰ্ম্ম প্রচারের আবশ্যকতা হৃদয়ঙ্গম করিতেন, তাহা হইলে এই দুঃখী লোকদিগর বিশেষ উপকার হইত। চুর্ভিক্ষে ক্ষুধাৰ্ত্ত ব্যক্তিকে অন্ন দান না করিলে, মাহামারীতে পীড়িত ব্যক্তিকে ঔষধ পধ্য প্রদান না করিলে লোকে নিষ্ঠুরতা বলে, কিন্তু জ্ঞানহীন মুখদিগের আস্তরিক দুর্দশা, ধৰ্ম্মহীন পাপ দগ্ধ মনুষ্যের হৃদয় যন্ত্রণ দূরীভূত না করিলে কেহই নিষ্ঠুরতা মনে করে না। দুঃখ দূর করাই ধৰি দয়ার কার্য্য হয়, তবে পাপযন্ত্রণা দূৰ্ব করা অপেক্ষ পৃথিবীতে দয়ার কার্য্য আর কিছুই নাই। যাহার কখন পাপের মন্ত্রণ ভোগ করিয়াছে, তাহারাই জানে অন্ন দান অপেক্ষা স্বৰ্গীয় উপদেশের মূল্য কত অধিক। ষে পাপের