পাতা:ব্রাহ্মসমাজের বর্ত্তমান অবস্থা এবং আমার জীবনে ব্রাহ্মসমাজের পরীক্ষিত বিষয়.pdf/৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ২৩ ] কৰ্ত্তব্য । ইহার কিছু পূৰ্ব্বে কতকগুলি বিখ্যাত ব্ৰাহ্ম কলিকাতা ব্রাহ্মসমাজ পরিত্যাগ করিয়া বহুবাজারে একটী ব্রহ্মোপাসনালয় সংস্থাপন করেন। তাহারা সংস্কৃত উপাসনা পদ্ধতি পরিত্যাগ করিয়া বাঙ্গালায় নূতন উপাসনা পদ্ধতি মতে উপাসনা করিতে লাগিলেন। ই হারা ব্রাহ্মসমাজ ত্যাগের এই সকল কারণ প্রদর্শন করিয়াছিলেন যে, দেবেন্দ্র বাবু ব্রাহ্মসমাজের যে কোন কাৰ্য্য করেন, তাহাতে কাহার মত গ্রহণ করেম মা । তিনি কাহারও মত না লইয়া স্থাপনা আপনি উচ্চ পদ গ্রহণ করেন, সমাজকে সাধারণের সম্পত্তি মনে না করিয়া আপনার সম্পত্তি জ্ঞানে যথেচ্ছ ব্যবহার করেন । কেহ তাহার অনুগত না থাকিলে তাহাকে অধাৰ্ম্মিক বলিয়া ঘৃণা করেন। বিশেষতঃ সংস্কৃতত্তে উপাসনা করা আমাদের মত নয়, এজন্য পৃথক্ সমাজ করিয়াছি। দেবেন্দ্র বাবু মনে করিলেন যে, কেশব বাবুর প্রতি বিরক্ত হইয়াই ব্রাহ্মগণ ব্রাহ্মসমাজ পরিত্যাগ করিতেছেন । এইরূপে পরস্পরের মনে সংশয় উপস্থিত হইতে লাগিল। পূৰ্ব্বে যেরূপ অন্তরে বাহিরে সরল ভাবে আলাপ হইত, এখন তাহার কিছু বিপৰ্য্যয় ঘটিল। অনুধাবন পূর্বক দেখিলে স্পষ্ট প্রতীতি হইবে যে, কএকজন ব্রাক্ষের স্বার্থপরতা হইতেই ব্রাহ্মসমাজে বিবাদ বিসম্বাদ উপস্থিত হয়। ব্রাহ্মগণ যদি আঞ্জার সদ্‌গতির জনা-পরিব্রাণের জন্য ব্রাহ্মসমাজে প্রবেশ করেন, তাহা হইলে সহক্স মতভেদেও বিবাদ হইতে পারে না । *