পাতা:ব্রাহ্মসমাজের বর্ত্তমান অবস্থা এবং আমার জীবনে ব্রাহ্মসমাজের পরীক্ষিত বিষয়.pdf/৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ २8 ] গোপনে গোপনে এইরূপ আলোচনা হইতেছে, ইহার মধ্যে ২০এ জাম্বিনের প্রবল বাত্য আসিয়া উপস্থিত হইল । কলিকাতা নগরে মহাপ্রলয় ঘটিল। প্রকাশ্য পথে বর্ষাকালের নী প্রবাহিত হইতে লাগিল। পথের উভয় পার্থে গৃহ সকল ভয় হইতেছে, আহত ব্যক্তিদিগের ক্ৰন্দন ধ্বনিতে চতুৰ্দ্দিকৃ প্রতিধ্বনিত হইতেছে। কার সাধ্য গৃহ হইতে বহির্গত হইতে পারে ? সে দিবস বুধবার, এ জন্য যতই বেলা অবসান হুইতে লাগিল, ততই সমাজে যাইবার জন্য মনের ব্যস্ততা বৃদ্ধি হইল। ক্রমে সায়ংকাল উপস্থিত হইলে আর থাকিতে পারিলাম না। বন্ধু বান্ধব সকলেই বারস্বার নিষেধ করিতে লাগিলেন, কিন্তু সমাজে যাইবার জন্য মন এত ব্যাকুল হইল ম্বে আর কালবিলম্ব না করিয়া ব্রাহ্মসমাজে গমন করিলাম । সমস্ত পথে প্রায় সম্ভৱণ দিয়া যাইতে হইয়াছিল। সমাজে উপস্থিত হইয়া দেখি যে, আর কেহই উপস্থিত হন নাই । আমি নিয়মিতরূপে উপাসনা করিয়া গৃহে প্রত্যাগমন করিতেছি, পথিমধ্যে কেশব বাবুর সহিত দেখা হইল—তিনিও ব্রাহ্মসমাজে গমন করিতেছেন । পুনৰ্ব্বার তাছার সহিত ব্রাহ্মসমাজে গমন করিলাম । সে দিন ব্রাহ্মসমাজের গল্পীরভাবে পরলোকের গম্ভীরতা উপলব্ধ হইয়াছিল। পরে দুই জনেই গৃহে চলিয়া আসিলাম। এই বাতাতে ব্রাহ্মসমাজ গৃহক্ট ভগ্নপ্রায় হয়, এ জন্য সেখানে আর উপাসনা না হইয়া যত দিন সমাজ গৃহ পুনঃ সংস্কৃত না হইবে ততদিন দেবেন্ত্র