পাতা:ব্রাহ্মসমাজের বর্ত্তমান অবস্থা এবং আমার জীবনে ব্রাহ্মসমাজের পরীক্ষিত বিষয়.pdf/৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{ ২৯ ] বরিশালে প্রথমে স্ত্রীলোকদিগের স্বাধীনতা লাভের সূত্রপাত দেখিয়া আনন্দ লাভ করিয়াছি। যে সকল ভগ্নী স্বাধীনতা লাভ করিতে অগ্রসর হইয়াছিলেন, প্রথম হইতেই তাহাদিগকে বলিয়া আসিতেছি যে, ভগ্নীগণ ! ঈশ্বরের অধীন হওয়া—ধৰ্ম্মের অধীন হওয়াই প্রকৃত স্বাধীনতা । ঈশ্বরের অধীন হইয়। তাছার আদেশ পালনে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হও। র্তাহার আদেশ পালন করিতে গিয়া যদি পিতা, মাতা, স্বামী, পুত্র কন্যা হইতে বিচ্ছিন্ন হইতে হয়, শরীর পর্য্যস্ত বলিদান দিতে হয় তাহাতেও পরাঞ্জমুখ হইও না । সমাজ ভয়ে সত্যপালনে বিরত থাকাই প্রকৃত অধীনতা। আন্তরিক রিপূদিগকে বশীভূত করিয়া পবিত্র থাকাই যথার্থ স্বাধীনতা । রিপুদিগের অধীন হইয়া পাপের দাস হওয়াই প্রকৃত পরাধীনতা । পুরুষের সহিত প্রকাগুরূপে আলাপ করা, প্রকাগু পথে পদব্রজে অথবা অনাবৃত স্থানে বিচরণ করা, পুরুষদিগের সভায় উপস্থিত হইয়া স্বাধীনতা প্রদর্শন করা ইহার একটীকেও স্বাধীনতার লক্ষণ বলিয়া বোধ হয় না । কারণ আমাদের দেশের নীচশ্রেণীর স্ত্রীলোকগণ সৰ্ব্বত্র বিচরণ করে, সৰ্ব্বদা পুরুষ মণ্ডলীতে অবস্থিতি করে, তজ্জন্য তাহাদিগকে স্বাধীন বলা যায় না। তাহারা সম্পূর্ণরূপে রিপুর অধীন, অথচ প্রচলিত দেশাচারকে অসত্য জানিয়া তাহা পরিত্যাগ করিতে পারে না। বরিশালের ভগ্নীগণ এই সকল কথা শ্রদ্ধা পুৰ্ব্বক গ্রহণ করিতেন। তঁহাদেরই দুই এক জনের সৎসাহসে