পাতা:ব্রাহ্মসমাজের বর্ত্তমান অবস্থা এবং আমার জীবনে ব্রাহ্মসমাজের পরীক্ষিত বিষয়.pdf/৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ৩২ ] র্তাহাদিগের পবিত্র জীবনের দৃষ্ট্রান্তে ব্রাহ্মদিগের বিশেষ উপকার হইতে লাগিল। তখন তাহদের প্রেমপুর্ণ মুখশ্ৰী, স্বৰ্গীয় উৎসাহ, সাধারণ মনুষ্যের প্রতি আন্তরিক দয়া, পরস্পরের মধ্যে অকৃত্রিম নিঃস্বার্থ ভ্রাতৃপ্রণয়, উপাসনার প্রগাঢ়ভাব এসকল দর্শন করিয়া নিতান্ত পাষাণ হৃদয়ও বিগলিত হইয়াছিল। এই সময়ের কিছুকাল পরেই ভারতবর্ষীয় ব্রাহ্মসমাজ প্রতিষ্ঠিত হইল। ভারতবর্ষের সকল প্রদেশের ব্রাহ্ম ইহাতে স্বাক্ষর করিয়া সভ্য হইলেন। কলিকাতা নগরে একটা উপাসনা মন্দির প্রতিষ্ঠিত করিবার জন্য যত্ব হইতে লাগিল। এখন প্রচারকগণ সাংসারিক দুঃখকে বিশেষরূপে বহন করিতে প্রস্তুত হইলেন। একে সমস্ত দিন অনাহারে থাকিয়া ক্ষুধানলে দগ্ধ, তাহার উপর আবার পরিবারদিগের ভংসন, প্রচারকগণ ব্ৰতপালন জন্য সকল প্রকার কষ্টই বহন করিতে প্রস্তুত ছিলেন। কিন্তু তাহাদের পরিবারবর্গ কষ্ট সহ করিতে কিছুমাত্র প্রস্তুত ছিলেন না, বরং তাহাদিগকে অন্যায়রুপে কষ্ট দেওয়া হইতেছে, এ জন্য হুবেল অভিসম্পাত করিতেন। পরিবারদিগের এই ভয়ানক গঞ্জনাই প্রচারকদিগের বৈরাগ্য শিক্ষার ও সহিষ্ণুতা অভ্যাসের বিশেষ অবলম্বন ছিল। এই সময়ে তাহাদিগের অন্যান্য কাৰ্য্যের মধ্যে ধৰ্ম্মতত্ত্ব, ইণ্ডিয়ান মিরার লেখা এবং কলিকাতা কলেজে শিক্ষকতার কার্ঘ্য ছিল। প্রকাশ্যে একত্র উপাসনার জন্য নির্দিষ্ট স্থান ছিল না। কেবল ব্রান্ধিক সমাজের কার্য্য স্থান বিশেষে নিয়মিতরূপে নিৰ্ব্বাহিত হইত। তখন ব্রাস্কের