পাতা:ব্রাহ্মসমাজের বর্ত্তমান অবস্থা এবং আমার জীবনে ব্রাহ্মসমাজের পরীক্ষিত বিষয়.pdf/৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ లిలి ] স্ত্রী হইলেই ব্যাকরণ অনুসারে ব্রান্ধিক নাম প্রাপ্ত হইণ্ডেন, নতুবা দুই চারি জন ভিন্ন অধিকাংশ ব্রান্ধিকাই পৌত্তলিক ধৰ্ম্মে জাস্থাৰিতা ছিলেন-কেবল স্ব স্ব স্বামীর অনুরোধে ব্রান্ধিক সমাজে উপস্থিত হইতেন । এই সময়ে ব্রান্ধ ধৰ্ম্মাম্বুসারে অনুষ্ঠান লইয়া বিশেষ আন্দোলন হইতে লাগিল। বিধবা বিবাহ, অসবর্ণ বিবাহ, জাতকৰ্ম্ম, নামকরণ, শ্ৰাদ্ধ ব্রাহ্মধৰ্ম্ম মতে এই সকল কাৰ্য্য যতই হইতে লাগিল, ততই ব্রাহ্মদিগের মধ্যে স্কোর আন্দোলন উপস্থিত হইল। দুৰ্ব্বল ব্রাহ্মগণ কলিকাতা ব্রাহ্মসমাজের আশ্রয় গ্রহণ করিলেন । ইহার মধ্যে কেশব বাবু “যিশুখৃষ্ট ইয়োরোপ ও আসিয়া, এবং “গ্রেটম্যান্‌” এই দুইটা বিষয়ে বক্তৃতা করিলেন । এই বস্তৃতাদ্বয়ের গৃঢ় ভাৰ হৃদয়ঙ্গম করিতে অসমর্থ হইয়া কলিকাতা ব্রাহ্মসমাজের ব্রান্ধগণ কেশব বাবুকে খৃষ্টান বলিয়া গালি দিতে লাগিলেন। তাছাদের অসদ্ভাব এতদূর প্রবল হইয়া উঠিল যে র্তাহারা মিথ্যা কথা বলিতে কিছুমাত্র কুষ্ঠিত না হইয়া কেশব বাবু খৃষ্টান হইয়াছেন বলিয়া ঘোষণা করিতে প্রবৃত্ত হইলেন। কুজ ঝটিকা যেমন হুর্য্যের আলোক আবরণ করিতে পারে না, তদ্রুপ অসত্য সত্যকে আবরণ করিতে কখনই সমর্থ হয় না। তাহারা যতই মিথ্যা চেষ্টা করিলেন, লোকে ততই তাহাম্বের মুরভিসন্ধি বুঝিতে পারিয়া তাহাদিগকে অবজ্ঞা করিল। মনুষ্য বিদ্বেষ পরবশ হইলে কোন দুষ্কৰ্শ্বই তাহার অকুত থাকে না । ধৰ্ম্ম লইয়া পরস্পর যেমন অকৃত্রিম