পাতা:ব্রাহ্মসমাজের বর্ত্তমান অবস্থা এবং আমার জীবনে ব্রাহ্মসমাজের পরীক্ষিত বিষয়.pdf/৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

~. [ ৩৫ ] শুঞ্জ জ্যোতিঃ নিপতিত হইলে কি আশ্চৰ্য্য শোভা হয় তাহা না দেখিলে অনুভব করা যায় না। উপরে ঐ অপূৰ্ব্ব শোভ নীচে জাবার নির্শ্বলসলিলা গঙ্গা নদী ধীরবেগে মৃদু মৃদু কল্লোল ধ্বনিতে প্রবাহিত হইতেছে। সেই নিৰ্ম্মল তরঙ্গমালায় চন্দ্রমা শত খণ্ডে বিভক্ত হইয়া মৃত্য করিতেছে। মধ্যে মধ্যে জলচর পক্ষীগণের মধুর সঙ্গীতে সস্তাপিত হৃদয় শীতল না হইয়া থাকিতে পারে না । মস্তকের উপরে নীলনক্তস্তলে তারকাবেষ্টিত পূর্ণচত্রের মনোহারিণী শোভা। আমি প্রতিদিন শোভা সত্তোগ করিতে গিয়া নির্জনে চিন্তা করিতাম, ষে, হায়! দয়াময় ঈশ্বর যে হস্তে এই সমস্ত শোভার ভাণ্ডার প্রকৃতি পুঞ্জকে স্বজন করিয়াছেন, এই নরাধমকেও সেই হস্তে স্বজন করিয়াছেন, স্থষ্টি কাল অবধি প্রকৃতির শোভা একই ভাবে অবস্থিতি করিতেছে, কিন্তু আমার হৃদয়ের শোভা কে হরণ করল ? দিন দিন যতই এই শোভা দেখিতে লাগিলাম, ততই হৃদয় ব্যাকুল হইতে লাগিল, প্রাণ অস্থির হইল আর কিছুই ভাল লাগে না। এই অসহ দুঃখের সময় শাস্তিপুর নিবাসী ভগবদ্ধভক্ত v হরিমোহন প্রামাণিক মহাশয়কে আমার দুর্দশার কথা বলি । তিনি দয়া করিয়া আমাকে “চৈতন্য চরিতামৃত” পাঠ করিতে অনুরোধ করেন । হরি বাবু পরম বৈষ্ণব ছিলেন, তিনি শাস্তিপুরে জুতা পায়ে দিতেন না । এমন নিষ্ঠাবান্‌ বৈষ্ণধ হইলেণ্ড প্তাহার সাম্প্রদায়িক ভাব ছিল না। তিনি বলিতেন, সচ্চিঙ্গানন্দ বিগ্রহ গ্ৰীকৃষ্ণ, শ্ৰীমতী রাধিক মহাভাব, অতএব