পাতা:ব্রাহ্মসমাজের বর্ত্তমান অবস্থা এবং আমার জীবনে ব্রাহ্মসমাজের পরীক্ষিত বিষয়.pdf/৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

歇 ৩৬ ] প্রভু ! আমিও ব্রহ্মজ্ঞানী। এইরূপ মধুর কোমল বাক্যে তিনি আমার দগ্ধ হৃদয়ে প্রেমবারি সিঞ্চনে আমাকে সুশীতল করিতেন। ভক্তিভাজন মহাত্মা হরিমোহন প্রামানিক আমার ধৰ্ম্ম জীবনে একজন গুরু । আমি তাহাকে প্রণাম করি । চৈতন্য চরিতামৃত নামক বৈষ্ণবদিগের ধৰ্ম্মগ্রন্থ আমার হস্তগত হইল। এই পুস্তক খানি প্রথমে কিছু কঠোর বোধ হইয়াছিল, পরে যতই পাঠ করিয়া অভ্যন্তরে প্রবেশ করিতে লাগিলাম, ততই অমৃত খনি আবিষ্কৃত হইতে লাগিল । মহাত্মা চৈতন্যের বিনয় ভক্তি, অনুরাগ, ব্যাকুলতা, ঈশ্বর দর্শন ও সস্তোগ এবং উন্নতাত্মা পাঠ করিয়া ধৰ্ম্ম সম্বন্ধে আমার জীবনের সম্পূর্ণ হীনতা অনুভব করিলাম। আহা! এস্থলে মহাত্মা চৈতন্যকে গুরু বলিয়া ভক্তি না করিয়া থাকিতে পারি না। তাহা জীবনী পাঠ করিয়া আমার অহঙ্কার চূর্ণ হইল, ঈশ্বর দর্শন ও সাধনের মৰ্ম্ম হৃদয়ঙ্গম করিয়া কৃতাৰ্থ হইলাম। “জীবে দয়া নামে ভক্তি” ইহার তত্ত্ব হৃদয়ে প্রবেশ করিল। বাহিরের ধৰ্ম্মানুষ্ঠান যে, পরলোকের সম্বল নহে, কেবল দয়ামন্থের অভয় চরণই সম্বল, তাহা স্পষ্ট প্রতীত হইল। তখন অসহনীয় অনূভাগে হৃদয় দগ্ধ হইতে লাগিল। হায়! আমি এতদিন কি করিলাম ? জীবনের একদিনও সাধন করি নাই, আমার গতি কি হইবে ? এইরূপ মন্ত্রণ ভোগ করিয়া সাধন করিবার জন্য অভ্যস্ত ব্যস্ত হইলাম। কিন্তু কিঙ্কগে.সাধন করিতে হয়, তাহ জানি না, কেবল প্রেমভক্তি লাভের জন্য