পাতা:ব্রাহ্মসমাজের বর্ত্তমান অবস্থা এবং আমার জীবনে ব্রাহ্মসমাজের পরীক্ষিত বিষয়.pdf/৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ৩৯ ] হইবে ষে একটী স্বরূপও যেন বৃথা উচ্চারিত না হয়। পূৰ্ব্বে স্বরূপের মধ্যে পবিত্রতার ভাব ছিল না। এজন্য পরে "শুদ্ধমপাপবিদ্ধং এই পদটী সন্নিবেশিত হয়। উপাস্য দেবতার সমস্ত স্বরূপ সমগ্রভাবে ধ্যান না করিলে হৃদয় পূর্ণ ব্রহ্মকে লাভ করিতে সমর্থ হয় না। যিনি যে স্বরূপের ধ্যান না করবেন তাহার জীবনে সেই বিষয়ে ক্ৰট থাকিবে। তখন বৃথা আলোচনা হইত না, ধ্যান বিষয়ে যাই এইরূপ আলোচনা হইয়াছে অমনি সকলে নির্জনে ধ্যান করিতে লাগিলেন । কেহ কেহ সমস্ত দিন উপবাসী থাকিয়া ধ্যান ধারণা করিতেন । এইরূপ উপাসনার যে সকল অঙ্গ আছে, প্রত্যেক অঙ্গের প্রত্যেক শব্দকে সাধন করিতে বিশেষরূপে চেষ্টা হইতে লাগিল । উপাসনার অঙ্গগুলি এতদূর সাধিত হইল যে, সমস্ত দিন অনাহারে উপাসনা করিলেও কিছুমাত্র কষ্ট বোধ হইত না । উপাসনা যেমন মধুর হইতে লাগিল, পরস্পরের প্রতি অনুরাগও তদনুরূপ বৃদ্ধি হইতে লাগিল। এই সময়ে আমার অগ্রজ ৮ ব্ৰজগোপাল গোস্বামী কলিকাতায় আমার বাসায় আসিয়া “কানু পরশমণি এই সংকীৰ্ত্তন করেন, শুনিয়া ব্ৰাহ্মসমাজে সংকীক্তন করিতে বড় সাধ হইল, ভক্তিভাজন কেশব বাবুকে মনের ভাব জানাইলাম। কেশব বাবু খোল বাজাইয়া কীৰ্ত্তন করিতে অনুরোধ করিলেন। ক্রমে খোল আসিল, সঙ্কীর্তনের স্বরে সঙ্গীত প্রস্তুত হইল। কিছুদিন কীৰ্ত্তন করিতে করিতে অনেকে অহৈতুকী ভক্তি যোগে বিগলিত হইলেন।