পাতা:ব্রাহ্মসমাজের বর্ত্তমান অবস্থা এবং আমার জীবনে ব্রাহ্মসমাজের পরীক্ষিত বিষয়.pdf/৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ 8० ] এই সময়ে ব্রাহ্মসমাজের এক কল্যাণকর যুগান্তর উপস্থিত হইল। ১৭৮১ শকের ৯ই অগ্রহায়ণ প্রথম ত্ৰক্ষোংসব হইল। ব্ৰক্ষোংসবের বর্ণনা কে করিবে ? “পৃথিবী স্বর্গের প্রায়, মনুষ্য দেবত হয়।” সেই দিন ইহা প্রত্যক্ষ করিয়াছিলাম। অনেক সময় বোধ হইয়াছিল, যেন স্বর্গে দেবতাদিগের সহিত সমস্বরে পরব্রহ্মের চরণ পূজা করিতেছি। সে দিন ভক্তিভাজন দেবেন্দ্র বাবু উপাসনায় যোগ দিয়া বিশেষরূপে আনন্দ বর্জন করিয়াছিলেন। তাহার সহিত আমার জীবনের স্বেরূপ সম্বন্ধ, তজ্জন্য র্তাহাকে দেখিবামাত্র আমার হৃদয় কৃতজ্ঞতায় পরিপূর্ণ হইয় উঠে। এই উৎসবে অনেকের মন পরিবর্তিত হইল। সমস্ত দিন একাসনে ব্রহ্মোপাসনা করিলে কাহার হৃদয়ু পরিবর্তিত না হইয়া স্থির থাকিতে পারে না । - ব্রহ্মোংসবের পর সঙ্গীৰ্ত্তনের বিশেষ উন্নতি হইতে লাগিল। কলিকাতায় যেমন কীৰ্ত্তন হইতে লাগিল, তদ্রুপ অন্যান্য স্থানের ব্রাহ্মসমাজেও কীৰ্ত্তন আরস্তু হইল। পরিশেষে পূৰ্ব্ববাঙ্গালায় ঢাকা নগরে বিশেষরূপে কীৰ্ত্তনের উন্নতি হইল। সঙ্গতের ব্রাহ্মাতাগণ বিশেষ উৎসাহের সহিত কীৰ্ত্তন আরস্তু করিলেন। পূৰ্ব্ববাঙ্গালার বিশেষতঃ বরিশালের ও ঢাকার সভ্যাভিমানী কৃতবিদ্যষ্মন্য ব্রাহ্মগণ কীৰ্ত্তনকে ঘৃণা করিতে লাগিলেন। সোমপ্রকাশ সম্পাদক কীৰ্ত্তন অনুমোদন করেন না, অতএব কীৰ্ত্তন ভাল নহে, অনেকের মুখে এইরূপ যুক্তি