পাতা:ব্রাহ্মসমাজের বর্ত্তমান অবস্থা এবং আমার জীবনে ব্রাহ্মসমাজের পরীক্ষিত বিষয়.pdf/৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ 8२. ] প্রবেশ করিল। কেহ কেহ আমাকে স্পষ্ট্রাক্ষরে বলেন, কেশবচন্দ্র সেন পূৰ্ণব্রহ্ম। পৃথিবীতে অবতীর্ণ, তজ্জন্ত ভক্তির অপব্যবহার হইতে লাগিল। এই সময়ে কেশববাবু সিমলা পৰ্ব্বতে গমন করেন। মুঙ্গেরে ভক্তির সঙ্গে সঙ্গে দিন দিন অধিক পরিমাণে অসত্য মিশ্রিত হইতে লাগিল। কেহ সদৃভাবে সরলভাবে অসত্যের প্রতিবাদ করিলে, মুঙ্গেরের ব্রাহ্মগণ র্তাহাকে নাস্তিক অবিশ্বাসী পাষও বলিয়া তিরস্কার করিতেন, সুতরাং কেহু সাহস পূর্বক প্রতিবাদ করিতে সক্ষম হইত না। কিছুদিন পরে কেশব বাবু সিমলা হইতে প্রত্যাগমন করিলেন । তাহার আগমনে ভক্রিস্রোত আরও শত গুণ বৃদ্ধি হইল। কিন্তু অসত্য তিরোহিত হইল না। সুতরাং আমি দুঃখিত হৃদয়ে অসত্যের প্রতিবাদ করিলাম। চতুর্দিকে মহা আন্দোলন হইল। অনেক সংবাদ পত্রের সম্পাদক এ বিষয়ে সাহায্য করলেন, কিন্তু তাহার এই সুযোগে ব্রাহ্মদিগের প্রতি অনেক বিদ্রুপ কটুক্তি বর্ষণ করিয়া স্ব স্ব বিদ্বেষ ভাবও চরিতার্থ করিতে লাগিলেন। যাহা হউক আমার প্রতিবাদে কেশব বাবু পৰ্য্যস্ত আঘাত প্রাপ্ত হইলেন। যে সকল বন্ধু বান্ধব অস্তরের সহিত আমাকে স্নেহ করিতেন, প্তাহারাও ঘৃণাপূৰ্ব্বক আমাকে অবিশ্বাসী, নাস্তিক, পাষণ্ড বলিয়া স্কোষণ করিতে লাগিলেন। কোন কোন ব্রাহ্মত্ৰাত৷ এতদূর ক্রোধান্ধ হইয়াছিলেন যে, আমাকে প্রহার পর্যাপ্ত করিতে প্রস্তুত ছিলেন। বোধ হয় আমি যে এখনও কোন