পাতা:ব্রাহ্মসমাজের বর্ত্তমান অবস্থা এবং আমার জীবনে ব্রাহ্মসমাজের পরীক্ষিত বিষয়.pdf/৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ৪৩ ] কোন ভ্রাতার নিকট ঘৃণিত এবং অবিশ্বাসের পাত্র রহিয়াছি, এই ঘটনাই তাহার মূলকারণ। কেশব বাবুর উপদেশ এবং বিশেষ চেষ্টায় যে অসত্য লইয়া বিবাদ হইতেছিল, তাহ! তিরোহিত হইল। বিশেষতঃ যে দুই জন কেশব বাবুকে অবতার মনে করিতেন, তাহার কেশব বাবুকে জিজ্ঞাসা করাতে তিনি অস্বীকার করিলেন, তখন তাহার কেশব বাবুকে ভণ্ড বলিয়া ব্রাহ্মসমাজ ত্যাগ করিলেন । এই কারণে বিশেষ সাবধান হইলেন । র্যাহারা অসত্য ধ্যবহার করিতেন তাহার আর করিবেন না বলিয়া প্রতিজ্ঞা করিলেন । পুনৰ্ব্বার আমি বন্ধুদিগের সহিত সম্মিলিত হইলাম । বন্ধুদিগের প্রতি আমার কিছুমাত্র অসদ্ভাব ছিল না। অসত্য দূরীভূত করিবার জন্যই বিশেষ চেষ্টা ছিল। অভ্যস্ত দুঃখের বিষয় বলিতে হইবে মুঙ্গেরের যে দুইজন ব্রান্ধের প্ররোচনায় মুঙ্গেরের সমাজে অসত্য আসিয়াছিল, তাহারা এই অসত্যের তিরোধান দেখিয়া ব্রাহ্মসমাজ পরিত্যাগ করিয়া কৰ্ত্তাভজা হইলেন। কিন্তু অসত্যের প্রতিবাদ না হইলে মুঙ্গেরের অনেক ব্রাহ্ম কৰ্ত্তাভজা হইতেন তাহার সন্দেহ নাই । . এই সকল গোলযোগের কিছু দিন পরে কলিকাতার ব্রহ্মমন্দির প্রতিষ্ঠিত হইল। ১৭৯১ শকের ৭ই ভাদ্র রবিবার এই স্মরণীয় শুভ দিন। সে দিনের জীবন্ত উপাসনায় ও স্বৰ্গীয় উৎসাহে ব্ৰাহ্মদিগের হৃদয় পরিপূর্ণ হইল। অনেকগুলি উৎসাহী যুবক ব্রাহ্মধৰ্ম্মে দীক্ষিত হইলেন। এক্ষণ হইতে