পাতা:ব্রাহ্মসমাজের বর্ত্তমান অবস্থা এবং আমার জীবনে ব্রাহ্মসমাজের পরীক্ষিত বিষয়.pdf/৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ 8+ হয়, স্বাধীনভাবে ধৰ্ম্মভাবে কোন কাৰ্য্য করিতে পারে না। বিলাসিতাকে স্বাধীনতা বলিয়া গণ্য করা যায় না। অতএব স্ত্রীজাতি যাহাতে প্রকৃত স্বাধীনতা লাভ করিতে পারে, তজ্জন্য চেষ্টা করা কৰ্ত্তব্য। কিন্তু স্বাধীনতার নাম লইয়া স্ত্রীজাতিকে স্বেচ্ছাচারিণী করা উচিত নহে। স্ত্রীস্বাধীনতাপ্রিয় ব্রাহ্মগণ প্রচারকদিগের অভিপ্রায় বুঝিতে না পারিয়া তাহাদিগের উপর গালি দিতে প্রবৃত্ত হইলেন। ব্রাহ্মসমাজে যে কিছু শান্তি সদৃভাব ছিল, এই আন্দোলনে তাহাও তিরোহিত হইতে লাগিল । কিছুদিন পরে আচাৰ্য্য মহাশয় মন্দিরে আসন নিদিষ্ট করিয়া মন্দিরত্যাগী ভ্রাতা ভগ্নাদিগকে আহ্বান করিলেন । তাহাদিগের মধ্যে অধিকাংশ আগমন করিলেন না । তাহার রাজনারায়ণ বাবুকে উপাচাৰ্য্য করিয়া পৃথক সমাজই রাখিলেন। রাজনারায়ণ বাবু এই অবকাশে কলিকাতা ব্রাহ্মসমাজের সংকীর্ণ মত প্রচার করিতে বিশেষ সুযোগ প্রাপ্ত হুইলেন । আমি ব্রাহ্মসমাজে প্রবেশ করিয়া ক্ষে যে পরিবর্তন দর্শন করিয়াছি এবং প্রত্যেক পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে যে সকল অসদৃভাব অশান্তি উপস্থিত হইয়া, ব্রাহ্মসমাজকে ছারখার করিয়াছে সংক্ষেপে তাহা উল্লেখ করিলাম। উল্লিখিত বিষয় সকল স্থিরভাবে আলোচনা করিলে বৰ্ত্তমান সময়ের অসদৃভাব বৃদ্ধির প্রকৃত কারণ অনুভূত হইবে।