পাতা:ব্রাহ্মসমাজের বর্ত্তমান অবস্থা এবং আমার জীবনে ব্রাহ্মসমাজের পরীক্ষিত বিষয়.pdf/৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ৪৯ ] প্রত্যেক ব্রাহ্ম পরিত্রাণার্থী হইয়া ঈশ্বরলাভে ব্যাকুল হইলে কোন প্রকার বিবাদই হইতে পারে না। অতএব নিয়ে যে সকল নিয়ম নির্দেশ করিতেছি ব্রাহ্মগণ যদি তদনুরূপ জীবনযাপন করিতে পারেন, তাহা হইলে বিশেষ উপকার হইবে সন্দেহ নাই । ১। প্রতিদিন অনূ্যন তিনবার পরব্রহ্মের উপাসনা করিবে । অভ্যস্ত কতকগুলি বাক্য বলিয়া উপাসনা শেষ না করিয়া জীবন্তভাবে উপাসনা করিতে হইবে। উপাসনার সঙ্গে সঙ্গে ব্রহ্মসাধন আরম্ভ করিতে হইবে। প্রথমে বাহ জগতের শোভা সৌন্দর্ঘ্যের মধ্যে ঈশ্বরের শোভাসেী দর্ষ্য উপলব্ধি করিতে হইবে। এমনই অভ্যাস করিতে হইবে যে, বাহ সৌন্দর্ঘ্যে ঈশ্বরের শোভা না দেখিলে সকল মুন্দর পদার্থকেই শূন্য বোধ হইবে, যেখানে প্রকৃতি স্বাভাবিক শোভায় পরিপূর্ণ, সেখানে ঐ প্রকার সাধন করা কৰ্ত্তব্য। এই সাধন অভ্যস্ত হইলে সৰ্ব্বব্যাপী ঈশ্বরকে সকল স্থানেই উপলব্ধি করা যাইবে পাপ করিতে আর সাহস থাকিবে না। এই সাধন বিশেষরূপে আয়ত্ত হইলে মন আর উহাতে সন্তুষ্ট থাকিবে না। তখন মনে হইবে যে চক্ষু যদি অন্ধ হয়, তবে প্রকৃতির সৌন্দর্ঘ্যে তাহাকে কিরূপে দর্শন করিব ? অতএব দয়াময় নামের মধ্যে র্তাহাকে সাধন করিতে হইবে। নাম উচ্চারণ করিতে করিতে র্তাহার ভাবে হৃদয় পূর্ণ হইলে নাম সাধন সার্থক হইবে। মাম সাধন করিতে