পাতা:ব্রাহ্মসমাজের বর্ত্তমান অবস্থা এবং আমার জীবনে ব্রাহ্মসমাজের পরীক্ষিত বিষয়.pdf/৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ৫২ ] জীবনের প্রকৃত মঙ্গল সংসাধিত হয়। সমস্ত অশাস্তি নিবারণের একমাত্র উপায় ব্রহ্মসাধন । ব্রাহ্মগণ বিশেষ শ্রদ্ধার সহিত ব্রহ্মসাধন করিয়া শান্তিলাভ করেন, এই আমার বিশেষ নিয়েঙ্গম । আমার জীবনের যে অংশ উল্লেখ করিলে লিখিত বিষয় বোধগম্য হইবার সুবিধা হইবে, এই প্রস্তাবে সেই অংশ সংক্ষেপে উল্লেখ করিয়াছি। তজ্জন্য যদি কিছু দোষ হইয়া থাকে, ব্রাহ্মভাতৃগণ অপরাধ মার্জন করিয়া অনুগৃহীত করবেন। এই পুস্তক মুদ্রিত হওয়ার পর হইতে এ পর্য্যম্ভ যে সকল পরিবর্তন ঘটিয়াছে, তাহা সংক্ষেপে উল্লেখ করিতেছি । কেশব বাবু বিলাত হইতে কলিকাতায় প্রত্যাগত হইয়া ভারত সংস্কার সভা স্থাপন করেন। স্ত্রীশিক্ষা, হুলভ সমাচার, দাতব্য, মুরাপান নিবারণ, সামান্য লোকদিগকে শিক্ষা দান । এ বিষয়ে বিশেষ উৎসাহের সহিত কাৰ্য্য হইতে লাগিল। মহিলাদিগকে শিক্ষা দান এবং বেহালা গ্রামে রোগীদিগকে ঔষধ বিতরণ প্রভৃতি গুরুতর পরিশ্রমে জামার শরীর ভগ্ন হইয়া গেল। হঠাৎ হৃৎপিণ্ডের পীড়া হইল। কিছুদিন চিকিৎসায় জারোগ্য লাভ করিয়া দিনাজপুর, রঙ্গপুর, কলিকাতা, গোবরাছড়া, কোচবেহার প্রভৃতি স্থানে ধৰ্ম্ম প্রচার জন্য গমন করি। কোচবেহারে পুনৰ্ব্বার পীড়া বৃদ্ধি পাওয়াতে শাস্তিপুরে জাসিয়া কিছুদিন অবস্থিতি করি। এই সময়ে ভক্তিভাজন রামকৃষ্ণ পরমহংস মহাশয়ের সহিত কেশব বাবুর জালাপ হয়। র্তাহার জীবন্ত