পাতা:ব্রাহ্মসমাজের বর্ত্তমান অবস্থা এবং আমার জীবনে ব্রাহ্মসমাজের পরীক্ষিত বিষয়.pdf/৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ৫৩ ] বৈরাগ্য দর্শনে কেশব বাবু বৈরাগ্য সাধনে প্রবৃত্ত হইয়া আমাকে কলিকাতায় আসিতে পত্র লেখেন, আমি কলিকাতায় জাসিয়া দেখি কেশব বাবু স্বহস্তে রন্ধন করিতেছেন। ব্রাহ্মসমাজে যাহাতে বৈরাগ্য ভাব প্রবেশ করে তজ্জন্য তিনি বাস্তবিক চেষ্টা করিতেছেন। সেই সময় অনেকের মুখে বৈরাগ্যের প্রশংসা শ্রবণ করিয়াছি। আবার কতিপয় ব্রাহ্ম বৈরাগ্যের ঘোর বিরোধী হইয়া কেশব বাবুকে নিন্দ করিতে লাগিলেন । ব্রাহ্মসমাজে বৈরাগ্য কেন ? বৈরাগ্য কথাও যেন ব্রাহ্মসমাজকে স্পর্শ না করে । খাও দাও আমোদ কর, মধ্যে মধ্যে ঈশ্বরের নাম কর, অত বাড়াবাড়ী কেন ? ইহার পরই সাধন ভজনের জন্য অনেকের মনে ব্যাকুলত প্রকাশ পাইতে লাগিল। সাধন ভজনের নানা উপায় স্থির করিতে করিতে কেশৰ বাবু যোগ ও ভক্তি সাধনের উপায় প্রকাশ করিলেন । প্রিয় বন্ধু জম্বোরনাথ গুপ্ত যোগ এবং আমি ভক্তি সাধন করিব । ঐযুক্ত গৌরগোবিন্দ রায় জ্ঞান সাধন এবং শ্ৰীমতী মুক্তকেশী ভাদুড়ী সেব অর্থাং কৰ্ম্ম সাধন করিবেন। এইরূপ স্থির করিয়া কেশব বাবু যোগ ভক্তি সাধনের নিয়মিতরূপে উপদেশ প্রদান করিলেন । সাধনের জন্য কোন্নগরের নিকট মোড় পুকুর গ্রামে একটা উদ্যান ক্রয় করিয়া "সাধন কালন” স্থাপন कब्जिएशम ! এইরূপে সাধন ভজন চলিতেছে। এ সময়ে বিশেষ