পাতা:ভক্তিরত্নাকর.djvu/১০১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ত্রয়োদশ তরঙ্গ। ভক্তিরত্নাকর। e eసి কছি কৈল গাঢ় আলিঙ্গন ৷ হইল রাজার মহা-উল্লসিত মন ॥ রামচন্দ্র-গোবিন্দ-চরণে প্ৰণমিয়া। করয়ে যে দৈন্য, তা শুনিতে দ্রবে হিয়া । শ্ৰীদাস গোকুলানন্দ দোহার চরণে । প্রণময়ে রাজা, অশ্রু করয়ে নয়নে ॥ শ্ৰী আচাৰ্য্য প্রভুর যতেক শিষ্যগণ । ক্রমে ক্রমে বন্দিলেন সভার চরণ ॥ যাজিগ্রামবালি লোকগণে প্ৰণমিয়া। বিদায় হইল রাজা ব্যাকুল হইয়া ॥রাজার মহিষী মহা উল্লাম অন্তরে। ছিলেন ঐআচার্য্যের ভবন-ভিতরে ॥ আচাৰ্য্যের ভাৰ্য্যা নাম দ্রৌপদী ঈশ্বরী। সৰ্ব্বগুণে পরিপূর্ণ অন্তত মাধুৰী ॥ আনিয়াছিলেন রাণী বস্ত্র অলঙ্কার। তাহ পরাইয়া দেখে শোভা চমৎকার ॥ সে দুই চরণ রাণী মস্তকে ধরিলা । বিদায় হইতে মহাব্যাকুল হইলা ॥ যাজিগ্রাম-ভূমে বার বার প্রণমিয়া। চলিলেন রাণী চতুদলেতে চাপিয়া ॥) যাজিগ্রাম হইতে রাজা গিয়া কথোদুরে । দিব্য যানে চঢ়ি গেলা বনবিষ্ণুপুরে ৷ শ্ৰীআচাৰ্য্য-ঠাকুর তাহার পর দিনে। খণ্ডে গেলা নরোত্তম রামচন্দ্র সনে। ঐরঘুনন্দনে প্ৰণমিয়া নিবেদয় । কালি প্রাতে খেতরি যাইব আজ্ঞা হয় ৷ স্ত্রীরঘুনন্দন কহে যাইবা খেতরি । কিছুদিন রহিয়৷ আসিব শীঘ্ৰ করি ॥ এত কহি বিদায় দিলেন আচার্য্যেরে । যাজিগ্রামে আসি সভে চিন্তয়ে অস্তরে ॥ আচাৰ্য্যঠাকুর নরোত্তম প্রতি কয়। ঠাকুরের ঐছে আজ্ঞা কভু নাছি হয়। চৈতন্যগণের চেষ্টা বুঝে সাধ্য কার। না জানি কখন বা করেন অন্ধকার। ( २२१ )