পাতা:ভক্তিরত্নাকর.djvu/৫৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

"&২২ ভক্তিরত্নীকৱ সপ্তম তরঙ্গ । প্রাতঃক্রিয়া সারি। শ্ৰীনিবাস শ্ৰীখণ্ডে গেলেন শীঘ্ৰ করি। ঐখণ্ডেতে প্রবেশিয়া মনের আনন্দে। গৌরাঙ্গপ্রাঙ্গণে গিয়া দেখে গৌরচান্দে। ভূমে লোটাইয়া কৈল প্ৰণতি বিস্তর। হুইল হেমাজ অঙ্গ ধূলায় ধূষর ॥ শ্ৰীনিবাস আইলা শুনি ঐরঘুনন্দন। ঠাকুরের আগে গিয়া কৈল নিবেদন ॥ যদ্যপি ঐঠাকুরের দুঃখে দগ্ধ হিয়া । তথাপি হইলা হর্ষ এ কথা শুনিয়া ॥ ঐীরঘুনন্দনে কহে সুমধুরভাসে । জুড়াক নয়ন আন দেখি শ্ৰীনিবাসে ॥ শুনি ঠাকুরের বাক্য উল্লসিত মনে। শ্ৰীনিবাসে মিলে গিয়া প্রভুর প্রাঙ্গণে ॥ শ্রীরঘুনন্দন অতি গুণের নিধান । শ্ৰীনিবাসে পাইয়া পাইলা যেন প্রাণ ॥ ঐনিবাস স্ত্রীরঘুনন্দনে প্ৰণমিতে। আলিঙ্গন করি না ছড়িয়ে কোলে হৈতে ॥ কি বা সে অদ্ভুত স্নেহে উমড়য়ে হিয়া। নিবারিতে নারে নেত্রধারা অলিঙ্গিয়া ; শ্ৰীনিবাস ভালে দুই নয়নের জলে । দীন প্রায় রহে রঘুনন্দনের কোলে ॥ ঐরঘুনন্দন নেত্রজলে সিক্ত করি । লৈয়া গেলা যথা ঐঠাকুর নরহরি ॥ বসিয়া আছেন তেঁহো পরম নির্জনে । শ্ৰীনিবাস অধৈর্য্য হইলা লে দর্শনে ॥ আহ৷ মরি সে না রূপে পরীণ জুড়ায় । কনক চম্পক কি উপমা হয় তায় । সে ছেন অ রূপ হইল মলিন । অতিমুকোমল তনু ক্ষণে ক্ষণে মুখের মাধুরী সে চান্দের শোভা যৈছে। জল বিনা জলজ বেশ ন এবে তৈছে। যে নয়ন যুগলে আনন্দ বরিষয়। সে মরণে