७४० ভক্তিরত্নীকর । [ দশম তরঙ্গ । ফাগু সমৰ্পয় ॥ কেহ কেহ ফাগু দিয়া স্ত্রীরাধারমণে । মদ মন্দ হাসে অতি উল্লষিত মনে ॥ ফাগু খেলাইতে যে অদ্ভুত ভাবাবেশ। একমুখে বণিতে না পারি তার লেশ ॥ কিবা পরস্পর ফাগুখেলায় বিহবল ৷ কিবা ফাগুময় অঙ্গ করে ঝলমল । কিবা ফাগুক্রীড়া গীত গামেন প্রভুর । নানা বাদ্য বায় কিব শব্দ সুমধুর ॥ কহিতে কিজানি সে অদ্ভুত সবরীত। গীতবাদ্য শ্রবণে ব্রহ্মাদি বিমোহিত । শ্ৰীনিবাসাচাৰ্য্য নরোত্তম শ্যামানন্দ। গণসহ বিহ্বল পাইয়া মহানন্দ ॥ দেখি সে অদ্ভূত শোভা মধুরভঙ্গিতে। ফন্তুতে ভূষিত তনু উপমা কি দিতে। ফাগুময় হইল গগণ মহিতল । চতুর্দিগে অসংখ্য লোকের কোলাহল ॥ প্রভুর ইচ্ছায় সে অদ্ভূত ফাগুখেলা । অলক্ষিত দেবতা মনুষ্যে একমেলা ॥ ফাগুখেলাসুখে মগ্ন হইয়া সকলে । প্রভুর ইচ্ছায় স্থির হৈলা সন্ধ্যাকালে ॥ সবে সন্ধ্যাআরাত্রিক করিয়া দর্শন। করিলেন শ্ৰীনাম কীৰ্ত্তন কতক্ষণ ॥ প্রভু প্রিয়গণ মহাগুণের সাগর। বৈসে প্রভু প্রাঙ্গণে সে শোভা মনোহর। গৌরাঙ্গের জন্ম-অভিষেক করিবারে। অনুমতি সকলে দিলেন আচার্য্যেরে ৷ শ্ৰীনিবাসাচাৰ্য্য সবে ভূমে প্ৰণমিয়া । প্রবেশে মন্দিরে মহানন্দিত হইয়া ॥ পূজারি সকল মহা-উল্পসিত মনে । অভিষেক দ্রব্য সজ্জ কৈল সেই ক্ষণে ॥ বিবিধ ওষধি দ্রব্য অনেক প্রকার । আচার্য্যের আগে দিলা সকল সম্ভার ॥ জাচাৰ্য্যঠাকুর গৌরাঙ্গেরে যত্ন করি। খসাইলা পূর্ণ
পাতা:ভক্তিরত্নাকর.djvu/৬৫৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।