[ দ্বাদশ তরঙ্গ । ভক্তিরত্নাকর । १८७ প্রভু অদর্শনে হৈল ব্যাকুল হৃদয় । জাগিয়া দেখয়ে রাত্রি প্রভাত সময় ॥ এ অদ্ভুত কথা জানাইয়া ভ্রাতাগণে । কথো দিন আনন্দে রহিল। এই খানে ॥ মহতের শ্রেষ্ঠ যুধিষ্ঠির মহাশয় । তার বাসস্থান হেতু মহৎপুর কয় ॥ এথা ছিল পঞ্চবট বৃক্ষ বিস্তারিত । অতি সুশীতল ছায়া সৰ্ব্ব মনোহিত ॥ দ্রৌপদী সহিত শ্ৰীপাণ্ডব পঞ্চ ভাই। দেখি নবদ্বীপশোভ অধৈৰ্য্য এথাই ॥ যুধিষ্ঠিরবেদি নাম উচ্চ টীলাঙ্ক ছিল। প্রভুর ইচ্ছাতে সে সকল লুপ্ত হৈল ॥ ওহুে ত্রীনিবাস কত কহিব সে কথা। অজ্ঞাত রূপেতে পাণ্ডলের বাস এথা ॥ পাণ্ডব শ্রীনবদ্বীপচন্দ্রের আদেশে । এথা হৈতে যাত্র করিলেন ওছ দেশে ॥ উৎকলে পুরুষোত্তম পুরী সন্নিধানে। রহিলেন কিছু দিন অপূর্বব কাননে ॥ তথা ঐবি গ্রহ শ্ৰীমাধব র্তার নাম। ছিলেন রাক্ষস স্থানে পাইল সন্ধান ॥ গদাঘাতে ভীম সে রাক্ষসে নষ্ট কৈলা । শ্ৰীমাধবসেবা সৰ্ব্বলোকে প্রচারিলা ॥ অদ্যাপিহ ভাগ্যবন্ত লোক সেবে তারে । পাণ্ডবের ক্রিয়া যত কে কহিতে পারে ॥ এই মহৎপুরে গৌরচন্দ্র মহারঙ্গে । প্রকাশে অদ্ভূত লীলা পরিকর সঙ্গে ॥ যে বারেক মহৎপুর করয়ে দর্শন। অনায়াসে পায় সে অমূল্য ভক্তিধন ॥ শ্ৰীমহৎপুরপ্রসঙ্গেতে যার রতি। তার দৃষ্টিমাত্রে ঘুচে অন্যের দুৰ্ম্মতি ॥ এত কহি শ্ৰীমহৎপুর হৈতে চলে। সোঙরি গৌরাঙ্গলীলা
- চলা অর্থাৎ উচ্চস্থান ।
( సె( )