তা’ চেয়ে রহেনা কেন শত ক্রোশ দূরে?
আমার এ উৰ্দ্ধশ্বাস পিপাসিত মন
নাহি অনুভবে তার হৃদয়-স্পন্দন;
মন চায় হাতে তার রাখি মোর হাত
বুকে তার মাথা রাখি করি অশ্রুপাত;
সেই ত ধরিনু হাত বুকে মাথা রাখি,
দৃঢ় আলিঙ্গন তারে করি থাকি থাকি;
কিন্তু এ কি হোল দায়, এ কিসের মায়া?
কিছু না ছুঁইতে পাই, ছায়া সব ছায়া!
তাই ভাবি, মন মোর যা কিছু পেয়েছে
সকলেরি মাঝে বুঝি অভাব রোয়েছে!
তৃষিত হৃদয় চায় ভালবাসা যত
ললিতা ফিরায়ে বুঝি দেয়নাক’ তত!
আমি চাই এক সুরে দুই হৃদি বাজে,
আবরণ নাহি রয় দুজনার মাঝে!
সমুদ্র চাহিয়া থাকে আকাশের পানে,
আকাশ সমুদ্রে চায় অবাক নয়ানে,
তেমনি দোঁহার হৃদি হেরিবে দোঁহায়,
পড়িবে উভের ছায়া উভয়ের গায়!
কিন্তু কেন, ললিতার এত কেন লাজ!
এত কেন ব্যবধান দুজনার মাঝ?
মিলিবার তরে যাই হইয়া অধীর,
মাঝেতে কেনরে হেন লৌহের প্রাচীর?
আমি যাই তাড়াতাড়ি করিতে আদর,
পাতা:ভগ্নহৃদয় - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/১০৩
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
একাদশ সর্গ।
৯৭