পাতা:ভগ্নহৃদয় - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/১৩৬

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
১৩০
ভগ্নহৃদয়।

তা’ লাগি ক’রেছি যেন কত তিরস্কার!
সহসা কাননে এলে আমারে দেখিতে পেলে
লুকাইয়া দ্রুত পদে পালান চকিতে,
মনে ভাবি আমি তাঁরে পাইনি দেখিতে!
কি করি! কি হবে মোর! বড় হয় ভয়!
লজ্জা কোরে ললিতারে হারালি প্রণয়!
লজ্জা কই, ললিতার লজ্জা কোথা আজ?
ভেঙ্গেছেও ললিত সে ভেঙ্গেছেত লাজ!
(ক্রুদ্ধ হইয়া) ধিক্ রে! এই কি লজ্জা ভাঙ্গিবার কাল? 
ভেঙ্গেছে সরম যবে ভেঙ্গেছে কপাল!
আর কিছু দিন আগে ঘটে নাই ভ্রম?
আর কিছু দিন আগে ভাঙ্গেনি শরম?
কাঁদিতে বসিলি আজ শিশুটির মত!
কিছু দিন আগে কেন ভাবিলিনে এত?
মিছা কি মনেরে তুই দিস্‌রে প্রবোধ?
দেখিনি তো হতে আর অধম অবোধ!
তুই যদি কষ্ট পাস্ দোষ দিব কার?
তোর মত অবোধের কষ্ট পুরস্কার!
যত কষ্ট আছে তুই সব কর ভোগ,
অশ্রুজলে তোর দিন অবসান হোক্!
নিজের চরণ দিয়া নিজ হৃদি বিদলিয়া
হৃদয়ের রক্তবিন্দু গোন্ দিন রাত!
হায়ায়ে সর্ব্বস্ব ধন কর্ অশ্রুপাত!
আগে কেন বুঝিলিনে, আগে কেন ভাবিলিনে,