একটু একটু করি কি কোরে যেতেছে মরি
একটি একটি দল পড়িছে খসিয়া!
বিষাক্ত নিশ্বাসে তব বিষাক্ত চুম্বনে
কি রোগ পশিল তার সুকোমল মনে?
তার চেয়ে কেন তীব্র অশনি আসিয়া
দারুণ চুম্বনে তারে ফেলেনি নাশিয়া,
দণ্ডে দণ্ডে পলে পলে জ্বরি জ্বরি হলাহলে
মর্মে মর্মে শিরে শিরে হতনা দহিতে,
মনের ব্যথার পরে দংশন সহিতে!
মুহূর্তের আলিঙ্গনে মরিত—ফুরাত—
মুহূর্ত জ্বলিয়া শেষে সকল জুড়াত!”
যে কৌশলে ধীরে ধীরে হৃদয়ের শিরে শিরে
দারুণ মৃত্যুর রস করেছ সঞ্চার—
সে কৌশল সফল যে হয়েছে তোমার।—
তাই একবার এস—দেখ’সে ত্বরায়
কেমন করিয়া তার জীবন ফুবায়!
নিদারুণ বিষ তব ফলে কি করিয়া,
জ্বরিয়া মরিতে হলে মরে কি করিয়া!
সে বালা, আসন্ন তার দেখিয়া মরণ,
কাঁদিয়া তোমার কাছে করেছে প্রেরণ!
এখনো চাওগো যদি—শেষ রক্তে তার
দিবে গো সে প্রক্ষালিয়া চরণ তোমার!
নিতান্ত দুর্ব্বল বুকে করিবে ধারণ
ওই তব নিরদয় কঠিন চরণ!
পাতা:ভগ্নহৃদয় - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/১৮৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
একত্রিংশ সর্গ।
১৮৩