এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৯০
ভগ্নহৃদয়।
আজি এই দুটি প্রাণ হইল অভেদ,
মরণে সে জীবনের হবেনা বিচ্ছেদ।
হোক্ তবে, হোক্, সখি, বিবাহ সুখের—
চিতায় বাসর শয্যা হোক্ আমাদের!—
মুরলা।-তবে তুলে আন ত্বরা রাশি রাশি ফুল!
চিতাশয্যা হোক্ আজি কুসুমে আকুল!
রজনী গন্ধার মালা গাঁথগো ত্বরায়,—
সে মালা বদল করি দিও এ গলায়,—
সেই মালা পোরে আমি তোমার সমুখে স্বামি—
করিব শয়ন সুখে সুখের চিতায়,
সেই মালা পোরে যেন দগ্ধ হয় কায়!
(অনিলের ফুল আনিতে প্রস্থান)
কবি গো, বড়ই সাধ ছিল মনে মনে
এক দিন কেঁদে নেব ধরি ও চরণে,—
দেখি, কবি, পা দুখানি দেখি একবার,
বড় সাধ গেছে মনে সুখে কঁদিবার!
কই, ফুল এল’ না তো আসিবে কখন?
এখনি ফুরায়ে পাছে যায় এ জীবন!
আরো কাছে এস কবি, আরো কাছে মোর,
রাখ হাত দুই খানি হাতের উপর!
কবিগো, স্বপ্নেও আমি ভাবি নাই কভু
শেষদিনে এত সুখ হবে মোর প্রভু!
এখনো এলনা ফুল! সখাগো আমার