পাতা:ভগ্নহৃদয় - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/১৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ত্রয়স্ত্রিংশ সৰ্গ।
১৯১

বড় যে হোতেছি শ্রান্ত পারিনে যে আর!

(ফুল লইয়া অনিলের প্রবেশ।)


(অনিলের প্রতি) ললিতা, কেমন আছে বল ভাই বল। 
অনিল।—ললিতা কেমন আছে? সে আছেরে ভাল! 
মুরলা।—চিরকাল ভাল যেন থাকে আদরিণী 
চিরকাল পতি সুখে থাকে সোহাগিনী!
কথা ক’ চপলা, সখি, মাথা খা আমার,
নীরবে নীরবে বসি কাঁদিস্ না আর!
মরণের দিনে দুঃখ র’য়ে গেল চিতে
হাসি খুশি মুখ তোর পেনুনা দেখিতে।
সুখে থাক্, সখি তুই চির সুখে থাক্,
হাসিয়া খেলিয়া তোর এ জীবন যাক্।
ওই যে এসেছে মালা, কবিগো ত্বরায়
পরায়ে দাওগো তাহা এ মোর গলায়।
এই লও হাত মোর রাখ তব হাতে,
ছেলেবেলা হোতে মোরে কত দয়া স্নেহ কোরে
রেখেছ এ হাত ধরি তব সাথে সাথে,
আবার মোদের যবে হইবে মিলন
এ হাত আমার, কবি, করিও গ্রহণ,
যেথা যাবে সেথা রব দুই জনে এক হব,
অনন্ত বাঁধনে রবে অনন্ত জীবন!
কবি।—বিবাহ মোদের আজ হোল এই তবে, 
ফুল যেথা না শুকায় সদা ফুটে শোভা পায়