তুচ্ছ হোতে তুচ্ছ আমাদেরো তরে আজ
তিল মাত্র স্থান কি রে রাখিয়াছে ধরা!
এখনো কি আমাদের ফুরায় নি কাজ?
হৃদয় রে! হৃদয় রে! ওরে দগ্ধ মন!
আমাদের তরে ধরা হয় নি সৃজন!
কবি।—মুরলা লাে! চেয়ে দেখ্—চেয়ে দেখ্ হােথা!
বল্ দেখি এত হাসি—এত মিষ্ট সুধারাশি,
হেন মুখ, হেন আঁখি দেখেছিস্ কোথা?
মুরলা।—এমন সুন্দরী আহা কভু দেখি নাই—
কবির প্রেমের যোগ্য আর কিবা চাই!
কবিতার উৎস সম ও নয়ন হোতে
করিবে কবিতা তব হৃদে শত-স্রোতে!
হাসিময় সৌন্দর্য্যের কিরণ পরশে
বিহঙ্গম-হৃদি তব গাহিবে হরষে;
মধুর সঙ্গীতে বিশ্ব করিবে প্লাবন;
সুখে থাক পূর্ণ মনে, ভালবাস’ প্রাণপণে
প্রেম-যোগ্য নারী যবে পেয়েছ এমন!
(স্বগত) কেন এত অশ্রু আজি করি বরিষণ?
কেনরে কিসের দুখ? কেন এত ফাটে বুক?
কিসের যন্ত্রণা মর্ম্ম করিছে দংশন?
কখনো ত কবির অমূল্য ভালবাসা
অভাগিনী মনে মনে করি নাই আশা!
জানিতাম চির দিন, রূপহীন, গুণহীন,
তুচ্ছ মুরলার এই ক্ষুদ্র ভালবাসা
পাতা:ভগ্নহৃদয় - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/৭২
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
৬৬
ভগ্নহৃদয়।