এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
৯২
ভগ্নহৃদয়।
ধূলায় লুণ্ঠিত এই অতি ক্ষুদ্র প্রাণ,
তোমার মনের ছায়ে দেহ’ এরে স্থান!
আমারে লুকায়ে রাখ’ প্রসারিয়া পাখা,
তোমার বুকের কাছে রব’ আমি ঢাকা!
নহিলে দুর্ব্বল এই দীন অসহায়
পথ হারাইয়া কোথা ভ্রমিয়া বেড়ায়?
তুমি কবি ছিলেনাকো, একেলা বিজনে
নিজ হাতে—বসি হেথা—দুঃখের কণ্টকলতা
রোপিতেছিলাম, কবি, আপনারি মনে,
তাই নিয়ে অনুক্ষণ—যেন আদরের ধন—
আত্মদাহী কল্পনায় খেলায়েছি কত,
যতনে ঢেলেছি তায় অশ্রুধারা শত,
এবে প্রতি মুল তার হৃদয়ের চারিধার
দংশে শত বাহু মেলি বৃশ্চিকের মত!
তুমি সখা এস কাছে, মরিতেছি জ্বলি,
ও চরণ দিয়ে কবি ফেল সব দলি!
প্রতি শাখা—প্রতি পত্র—প্রতি মূল তার
এস’ কবি বল দাও—এ হৃদয়ে বল দাও—
আর কভু বর্ষিব না অশ্রুবারি ধার!
কবির প্রবেশ।
কবি।—সকাল হইতে, মুরলা সখিলো,
খুঁজিয়া বেড়াই তোরে,
বড়ই অধীর-হরষে আমার
হৃদয় গিয়েছে ভোরে।