পাতা:ভবঘুরের চিঠি - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভবঘুরের চিঠি খেয়ে এসেছি । মা শুনে কঁদতে লাগলেন । বাবা বললেন,-আমার না কি ধৰ্ম্ম চলে গেছে। কাজেই আমায় আর বাড়ীতে স্থান দেওয়া যেতে পারে না । বাড়ী থেকে তাড়া খেয়ে আর যাই কোথায় ? সেই অবধি পাদরী সাহেবদের সঙ্গেই আছি।” দেশাচারের ভয়ে যে সমাজে মা-বাপের মন থেকেও দয়া মায়া স্নেহমমতা শুকিয়ে গেছে, সে সমাজ সজীব না মরা ? মরা বললে আমার বন্ধুরা চোটে যান। বলেন যে, সমাজকে অমন ব্যাং-খোচানি না ক’রে খুব সহানুভূতির সঙ্গে বুঝিয়ে সুঝিয়ে ভাল করতে হয়। র্তারা এ কথা ভেবে দেখেন না যে, যাদুর গায়ে হাত বুলোবার সময় আর নেই। এ তো বুদ্ধির অভাব নয়, এ যে প্ৰাণের অভাব। যারা জ্ঞানপাপী তাদের বুঝিয়ে কিছু হবে না। দুঃখ-যন্ত্রণার তাপে গলিয়ে তাদের নূতন ছাঁচে ঢালাই করতে হবে। পুরানো বচনের বনিয়াদ উপড়ে ফেলে সত্য-সনাতন ধৰ্ম্মের নূতন সমাজ গড়তে হ’বে। এখন যা আছে সে তো ধৰ্ম্ম নয়, ধৰ্ম্মের ভ্যাংচানি। নিজেদের ক্ষুদে ক্ষুদে স্বার্থের পুটুলির উপর বড় বড় নামের ছাপ মেরে ধৰ্ম্মের বাজারে ভাল মাল বলে চালান করবার চেষ্টা । হায় রে । ভগবানই কি এমনই বোকা যে, দুটো সংস্কৃত বচনে ভুলে গিয়ে আমাদের রেহাই দেবেন ? তাই যদি হতো তো এই হাজার বছর ধরে আমাদের সমাজের পিঠে ক্ৰমাগত গুতো-বৃষ্টি 歌